ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ইঙ্গিত ইলন মাস্কের!

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১০ জুন ২০২৫

ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ইঙ্গিত ইলন মাস্কের!

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন ধনকুবের ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক মতবিরোধের পর যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলীয় রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন তিনি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি মূলত ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান এই দুই দলের নিয়ন্ত্রণে। তবে এবার সেই প্রচলিত ধারায় পরিবর্তন আনার বার্তা দিয়েছেন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্ট ঘিরেই এই জল্পনা-কল্পনার সূত্রপাত।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেন মাস্ক। রিপাবলিকান পার্টির প্রচারে তিনি খরচ করেন প্রায় ২৭ কোটি ডলার। সেই সময় ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নির্বাচনের পর ট্রাম্প মাস্কের জন্য হোয়াইট হাউজে একটি নতুন দপ্তর তৈরির পরিকল্পনাও করেছিলেন—‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামের সেই দপ্তরের মূল লক্ষ্য ছিল প্রশাসনিক খরচ কমিয়ে সরকারি ব্যয় সাশ্রয় করা।

তবে সম্প্রতি একটি ব্যয়সংক্রান্ত বিল নিয়ে দুইজনের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়। বিলটিকে ট্রাম্প যেখানে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ বলে আখ্যা দেন, সেখানে মাস্ক সেটিকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করেন। এই বিরোধের জেরে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফাও দেন মাস্ক।

এরপর থেকেই দুইজনের বাকযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ট্রাম্পও মাস্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ইঙ্গিত দেন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মাস্ক এবার নিজেই রাজনৈতিক দল গড়তে যাচ্ছেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।

গত বৃহস্পতিবার এক্স-এ এক জরিপে মাস্ক আমেরিকানদের প্রশ্ন করেন—“যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে কিনা, যারা জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করবে?” ওই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০% নতুন দলের পক্ষে মত দেন। এরপরই মাস্ক লেখেন, “জনগণ রায় দিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, যা ৮০% মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।”

যদিও মাস্ক এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের ঘোষণা দেননি, তবে গুঞ্জন উঠেছে—তার নতুন রাজনৈতিক দলের নাম হতে পারে “দ্য আমেরিকান পার্টি”।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইলন মাস্কের এই নতুন পদক্ষেপ কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ দুইদলীয় রাজনীতির দীর্ঘদিনের প্রথাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।

সূত্রঃ https://youtu.be/UcfMi53r2eQ?si=qV43Ywy-6HeBkeex

নোভা

×