ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাস্কের সাথে দ্বন্দ্বের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, নিজের লাল টেসলা বিক্রির সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১০ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৮:৫০, ১০ জুন ২০২৫

মাস্কের সাথে দ্বন্দ্বের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, নিজের লাল টেসলা বিক্রির সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি:সংগৃহীত

হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট এক্সিকিউটিভ অ্যাভিনিউতে সাধারণত পার্ক করে রাখা হতো একটি লাল রঙের টেসলা মডেল এস গাড়ি। সম্প্রতি গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। অনেকেই মনে করছেন, এটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রথম স্পষ্ট ইঙ্গিত। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটিই কেবল শুরু, সামনে আরও বড় কিছু ঘটতে পারে।

 

 

ট্রাম্প অতীতেও বৈদ্যুতিক গাড়ির কড়া সমালোচক ছিলেন। তার অভিযোগ ছিল—এ ধরনের গাড়ির দাম বেশি, দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে না, আর ব্যবহারেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব প্লাগ-ইন গাড়িকে 'নরকে পচে যাক' বলেও মন্তব্য করেছিলেন।

তবে ওই মন্তব্য ছিল মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার আগের কথা। পরে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সম্পর্কের ভিত্তি দৃঢ় হওয়ার পর মাস্ক reportedly ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারে ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাম্প তাকে ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন।

 

 

চলতি বছরের মার্চ মাসে হোয়াইট হাউজে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও মাস্ক একসঙ্গে টেসলার বিভিন্ন মডেল ঘুরে দেখেন। সে সময় মাস্ক তাকে জানান, টেসলার সাইবারট্রাকটি 'বুলেটপ্রুফ'। কিন্তু ট্রাম্পের নজর পড়ে একটি লাল রঙের মডেল এস-এর দিকে। আঙুল তুলে সেটি দেখিয়ে তিনি বলেন, "এইটা চাই।" এরপরই গাড়িটি কেনেন তিনি।

তবে গাড়িটির সাম্প্রতিক বিক্রির সিদ্ধান্ত অনেকের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখা দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, সম্পর্ক হয়তো ভাঙেনি, কিন্তু এর গভীরতা বা উদ্দেশ্য হয়তো বদলে গেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে—এ কি নিছক একটি গাড়ি বিক্রির ঘটনা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড় কোনো রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ?

ছামিয়া

×