ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে ত্রাণবাহী জাহাজ ‘মেডেলিন’, গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ মানবাধিকার কর্মী আটক

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:৫৩, ৯ জুন ২০২৫

ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে ত্রাণবাহী জাহাজ ‘মেডেলিন’, গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ মানবাধিকার কর্মী আটক

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ ‘মেডেলিন’ আটক করে সেটি দখলে নিয়েছে ইসরায়েল। জাহাজটি বর্তমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে। ত্রাণ পরিবহনকারী এই জাহাজে ছিলেন পরিবেশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্তত ১২ জন মানবাধিকার কর্মী।

স্থানীয় সময় সোমবার গাজার খান ইউনিস বন্দরের প্রায় ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটি আটকায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর অস্ত্রের মুখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা এবং উপস্থিত মানবাধিকার কর্মীদের হস্তগত করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

গ্রেটা থুনবার্গ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি সুইডেন থেকে এসেছি। আমাদের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীরা আমাদের অপহরণ করেছে। আমি আমার পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের অনুরোধ করছি, যেন সুইডিশ সরকারকে চাপ দিয়ে আমাদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন।”

গ্রেটাসহ অন্যান্য মানবাধিকার কর্মীরা ভিডিওতে বলেন, তারা জানতেন এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে এবং এ কারণে আগেই ভিডিওটি ধারণ করে রেখেছিলেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, মানবাধিকার কর্মীরা হাত তুলে জাহাজের ডেকে বসে আছেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। শুরু থেকেই ‘মেডেলিন’ জাহাজকে ‘সেলফি ইউট’ বলে অবজ্ঞা করে ত্রাণ মিশনটি ব্যর্থ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইসরায়েল।

উল্লেখ্য, ১ জুন ইতালির সিসিলির কাতানিয়া শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর এই জাহাজটি। এর উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের অবরোধ উপেক্ষা করে গাজার অনাহারে থাকা মানুষদের কাছে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া।

ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এতে অনাহারে ভুগে মারা গেছে একাধিক শিশু।

এদিকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি। রাফা, খান ইউনিস, গাজা সিটি এবং জাবালিয়ায় নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে জায়োনবাদী বাহিনী।

এছাড়াও ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

মিমিয়া

×