লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে জার্মানিতে। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট (আরকেআই) দৈনিক বুলেটিনে জানিয়েছে, সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১ এ পৌঁছেছে। অর্থাৎ, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ ঘটানোর হার (রিপ্রোডাকশন রেট) বেড়েছে। রোগীরা এখন গড়ে একজনের বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছেন। রয়টার্স।
তবে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সংক্রমণের হার ১ এর নিচে রাখতে হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জার্মানিতে গত ২০ এপ্রিল প্রাথমিকভাবে লকডাউন কিছুটা শিথিলের ঘোষণা দিয়ে ছোট ছোট দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এরপর গত বুধবার ১৬ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল আরেক ধাপে নিয়ম কানুন শিথিলের ঘোষণা দেন। দোকান, বাজার খোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাধানিষেধ তুলে নিয়ে আরও বেশি দোকনপাট খুলে দেয়া হয়। স্কুলও ধীরে ধীরে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। ফেডারেল স্তরেও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে নিজ পরিবারের বাইরে অন্য একটি পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে মানুষের মেলামেশার অনুমতি দেয়া হয়। শনিবার লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেয়ার দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই আরও দ্রুত লকডাউন তোলার দাবিও জানায়। এরপরই সংক্রমণের নতুন হারের খবর এল। জার্মানির এক স্যোশাল ডেমোক্র্যাট এমপি এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বাইরে এত মানুষের এই সমাবেশের ফলে করোনাভাইরাস আবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করতে পারে। বিশ্বে আক্রান্তের দিক দিয়ে জার্মানি সপ্তম স্থানে আছে।
রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট রবিবার জানিয়েছে, দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৭ জন বেড়ে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৮১ জনে। আর দৈনিক মৃত্যু ২৬ জন বেড়ে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭ হাজার ৩৯৫ জন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে জার্মানি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। বৃহৎ পরিসরে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা এবং কার্যকর লকডাউনের কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর চাইতে জার্মানিতে ভাইরাসে মৃত্যু কম হয়েছে।
