ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এমআই ফাইভের প্রতি ক্রেমলিনের প্রশ্ন

ব্রিটেন কি সরকারী নিয়োগেও মস্কোর হাত খুঁজে পায়

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৩ নভেম্বর ২০১৬

ব্রিটেন কি সরকারী নিয়োগেও মস্কোর হাত খুঁজে পায়

রাশিয়া ব্রিটেনের বিরুদ্ধে বৈরিতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যা দেশটির স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে- গার্ডিয়ানের কাছে এমআই ফাইভ প্রধানের করা এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ক্রেমলিন। এর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার বলেন, ‘বাস্তবতার সঙ্গে ওসব কথার মিল নেই।’ খবর গার্ডিয়ানের। এমআই ফাইভের প্রধান এ্যান্ড্রু পার্কার গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, মুসলিম উগ্রপন্থীদের নিয়ে শঙ্কা বাড়লেও বৈরী দেশগুলো ব্রিটেনের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং সে ক্ষেত্রে সবার আগে আসবে রাশিয়ার নাম। পার্কার বলেন, ‘রাশিয়া বিদেশে তাদের পররাষ্ট্র নীতির প্রয়োগ ঘটাতে দিন দিন আগ্রাসী পন্থায় রাষ্ট্রযন্ত্রের সব কাঠামো ও শক্তি ব্যবহার করছে। পন্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রচার, গুপ্তচরবৃত্তি, নাশকতা ও সাইবার হামলা। ইউরোপজুড়ে এবং বর্তমানে যুক্তরাজ্যে দেশটির কর্মকা- চলছে। এমআই ফাইভের কাজ হচ্ছে ওই আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত করা।’ তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনের মাটিতে এখনও রাশিয়ার অনেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু স্নায়ু যুদ্ধের দিনগুলো থেকে বর্তমান সময়ের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে সাইবার যুদ্ধ পরিস্থিতির উদ্ভব। রাশিয়ার নিশানার মধ্যে রয়েছে সামরিক গোপনীয় বিষয়, শিল্প প্রকল্প, অর্থনৈতিক তথ্য, সরকার ও পররাষ্ট্র নীতি। এমআই ফাইভের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘রাশিয়াকে মনে হচ্ছে, দিন দিন পশ্চিমাদের বিরোধী হিসেবে নিজেকে স্পষ্ট করছে এবং সেই মোতাবেক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন ও সিরিয়ায় রাশিয়ার কর্মকা-ে এ বিষয়টি দেখা যায়। তবে দৃষ্টির বাইরে বড় মাপের কর্মকা- হচ্ছে সাইবার হামলা।’ পেসকভ বলেন, ‘কেউ প্রমাণ না দেখানো পর্যন্ত ওসব কথাকে আমরা অমূলক ও ভিত্তিহীন বলে বিবেচনা করব।’ মস্কোতে পার্কারের সাক্ষাতকারের কড়া সমালোচনা হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারভ বলেন, ‘আমি এমআই ফাইভের প্রধানের কাছে জানতে চাই, তিনি কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে বরিস জনসনের নিয়োগেও ক্রেমলিনের হাত খুঁজে পান?’ তিনি এর বেশি মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে, লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস টুইটারে এক বার্তায় বলেছে, ‘একজন পেশাদার গোয়েন্দা তার নিজস্ব সৃষ্ট প্রচার জগতের ফাঁদে পড়েছেন-তা দেখে তারা মর্মাহত।’ এই বার্তার পাশে ১৯৬৬ সালের সিনেমা ‘দ্য রাশিয়ানস আর কামিং, দ্য রাশিয়ানস আর কামিং’ এর পোস্টার ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এ মাসের শুরুর দিকে মস্কোর বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটি পার্টির সার্ভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টার অভিযোগ আনার পর রাশিয়ার কর্মকা- সূক্ষ্ম নজরদারির আওতায় আসে। ভøাদিমির পুতিন গত সপ্তাহে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি অযৌক্তিক। যুক্তরাজ্যে রুশ গুপ্তচরবৃত্তি ও সাইবার কর্মকা- নিয়ে অনেক ব্রিটিশ রাজনীতিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তারা ক্রেমলিনের ‘তথ্য যুদ্ধ নিয়েও শঙ্কা ব্যক্ত করেন।
×