অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদি আরব অভিযোগ করে বলেছে, ইরান সন্ত্রাসের মদদ দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক স্থীতিশীলতাকে নস্যাৎ করছে। সৌদি আরব বিখ্যাত শিয়া নেতার শিরোচ্ছেদ করায় উভয় দেশের মধ্যে শনিবার কূটনৈতিক বিতন্ডা তুঙ্গে পৌঁছে।
সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ইরান সন্ত্রাসের ইন্ধনদাতা দেশ। জাতিসংঘসহ বহু দেশ ইরানের নিন্দা জানিয়েছে।
সৌদি শিয়া নেতা নিমোর আল নিমোরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার পর তেহরান আগ্রাসী বিবৃতি দেয়ায় এর প্রতিবাদে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিয়াদে ইরানী রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় এবং বিবৃতিটি প্রদান করে।
এতে আরো বলা হয়, মানবাধিকার নিয়ে ইরান গলাবাজি করে, উচ্চস্বরে কথা বলে। অথচ দেশটির কোন লজ্জা নেই। সঠিক আইনী ভিত্তি ছাড়াই দেশটি গত বছর কয়েকশ ইরানীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে ।
এর আগে নিমোর আল নিমোরের শিরোñেদের পর শিয়া অধ্যুষিত ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন জাবের আনসারি এক বিবৃতিতে বলেন, সৌদি সরকার সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের মদদ দিচ্ছে। নিপীড়ন ও নির্যাতনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সমালোচনাকে দমন করছে।
তিনি আরো বলেন, এসব নীতির জন্য সৌদি সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে ইরানের আসল চেহারাই তাদের মন্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে। কারণ তাদের নীতি হলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করা।
বিবৃতিতে ইরানকে অভিযোগ করে আরো বলা হয়, তেহরান রেভ্যোলিউশনারী গার্ড ও শিয়া মিলিশিয়াদের মাধ্যমে ইরাক, ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।
এছাড়া দেশটি বাহরাইন ও কুয়েতে বিস্ফোরক ও অস্ত্র পাচার করছে।
উল্লেখ্য, আঞ্চলিক শক্তিধর দুই দেশ সৌদি আরব ও ইরান মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ একাধিক দেশে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে।