সৌদি আরবে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত এক তরুণের মা তার ছেলেকে রক্ষার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আলী মোহাম্মদ আল নিমরকে ২০১১ সালের শেষের দিকে ১৭ বছর বয়সে সৌদি শহর কাতিফে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়ার দায়ে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। ওই সময় মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সরকারবিরোধী গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। প্রথমবারের মতো বিদেশী সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নিমরের (২১) মা নুসরা আল-আহমেদ এ অনুরোধ জানান। যুক্তরাষ্ট্র নিমরের মৃত্যুদ- কার্যকর স্থগিত রাখতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খবর গার্ডিয়ান ও এমটিভির।
নিমরের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ হলো বিক্ষোভে অংশগ্রহণ, বিক্ষোভে আরও সমর্থন পেতে তার মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং অস্ত্র বহন করা। তবে নিমরের পরিবার সব অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে। নিমরের মা অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পর নিমরকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্র্রেফতারের পর যখন আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যাই প্রথমে তাকে আমি চিনতে পারিনি। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি এটাই আমার ছেলে আলী। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ওবামা বিশ্বের শীর্ষ নেতা এবং একমাত্র তিনিই হস্তক্ষেপ করে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারেন। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো, মার্কিন টকশো উপস্থাপক বিল মাহের ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নিমরের শাস্তি মওকুফের আহ্বান জানিয়েছেন।
নিমরকে শিরñেদের পর ঝুলিয়ে রাখার দ- দেয়া হয়েছে। তার মা এই দ-কে বর্বরোচিত আখ্যায়িত করেছেন। বিক্ষোভের পর নিমরের নাম সৌদি সরকারের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল। তাকে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। নিমরের বাবা প্রথমদিকে বলেছিলেন, নিমরকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। এমনকি তাকে অল্প সময়ের জন্য কারাগার থেকে বাড়িতে যাওয়ারও অনুমতি দেয়া হয়। তবে তার চাচা ধর্মীয় নেতা নিসর আল নিমরকে সাম্প্রতিক কোন্দলে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে অবসরে পাঠানোর পর নিমরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে।