
ছবি: জনকণ্ঠ
সৃজনশীলতার চোখে দেখা পাবলিক স্যানিটেশন, শিশু, তরুণ থেকে সাধারণ মানুষের সৃজনশীল চোখে, তাঁদের নান্দনিক তুলিতে, কলমে আর ক্যামেরায় আমাদের পাবলিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যতের স্বপ্নের এক দারুণ উপস্থাপন দেখা গেল আজ।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, কিম্বার্লি-ক্লার্ক এবং সুইডেন সরকারের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় সৃজনশীল প্রচারণা 'পথে হল দেখা'-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। গত মে মাস থেকে চলা এই অনন্য প্রচারণায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। তিনটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় আজকের এই অনুষ্ঠানে।
শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় (৫-১০ বছর বয়সী) ৪৫ জন প্রতিভাবান শিশুর অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেটের স্বপ্ন তুলে ধরে শীর্ষ পুরস্কার জিতে নিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের মিফতা বিনতে শরীফ। বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন জারিয়া রহমান প্রার্থনা, মোসাম্মৎ জুবাইদা জান্নাত এবং জ্যোতিরাদিত্য দেবনাথ।
১৮-৩৫ বছর বয়সী তরুণদের গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমা পড়া গল্প থেকে ৩৫টি সেরা গল্প নির্বাচিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ হয়েছেন মোহাম্মদ মারুফ হাসান, এস এম বায়োজিদ হোসাইন, নওশিন আফসানা বৃষ্টি, সুমাইয়া খানম, মোহাম্মদ জারিফুল ইসলাম জিম, সামির আহমেদ সোহান, নাকিব আলি, জাকিয়া আফরোজ তামান্না, তাহমিনা রহমান এবং সাদিয়া তাসমিয়া তালুকদার।
সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্যাটাগরিতে ১০টি সেরা কন্টেন্টকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিজয়ীরা হলেন, মোহাম্মদ শাহরিয়ার উদ্দিন তওসিফ, মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, সামিউল হক ভুঁইয়া (ভাইসাব), সায়িদ ওমর আল ফয়সাল, সীমান্ত সূত্রধর সুমন, বহ্নি নাগ, সুদীপ্ত সরকার, কাশফাক আহমেদ মুগ্ধ, সন্নিবেশ নাথ এবং প্রিয়াঙ্কা মোল্লা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ওয়াটারএইড কর্তৃক বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া স্টার রেটিং সিস্টেম ফর পাবলিক টয়লেট। এই ব্যবস্থায় ফাইভ স্টার রেটিং পেয়েছে ভূমিজ ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) পরিচালিত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পাবলিক টয়লেটগুলো। এই রেটিং পদ্ধতি পাবলিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন লেখক আনিসুল হক, কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশু, চলচ্চিত্রকার রেদওয়ান রনি সহ দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ববর্গ। এই ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে পাবলিক স্যানিটেশন নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে এভাবেই কাজ করে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
তাছাড়া অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাবলিক টয়লেট যাত্রায় সহযোগী সংস্থা ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা ওয়াসা এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
শহীদ