ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

বাংলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৯, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাংলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান

ঢাকার শিশু একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবসে শত শিশুকে নিয়ে ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে দেশের গান গাইলেন রুনা লায়লা

চলছে স্বাধীনতার সাক্ষ্যবহ অগ্নিঝরা মার্চ মাস। সেই সুবাদে মঙ্গলবার ছিল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। তবে দিবসটি পেরিয়ে গেলেও রয়ে গেছে তার রেশ। সেই ¯্র্েরাতধারায় বুধবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান। সেই সূত্রে এদিন শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করে শিশু একাডেমি। অন্যদিকে দিবসটি উদ্্যাপনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।

চৈতালী সকালে শিশু শিল্পীদের আগমনে সরব হয়ে ওঠে শিশু একাডেমি আঙিনা। সেথায় ছিল খুদে শিল্পীদের নাচ-গানের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা। সঙ্গে ছিল আলোচনা  পুরস্কার প্রদান। তবে সব ছাপিয়ে উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার উপস্থিতিতে আয়োজনটি হয়ে ওঠে বর্ণিল। যুক্ত হয় ভিন্ন মাত্রা। এই বরেণ্য কণ্ঠশিল্পীর গান শুনিয়েছেন।

আর তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শত শিশু শিল্পী। সকলে মিলে গেয়েছে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ আমরাই তো বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংগীত। একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। 
শত শিশু শিল্পীর সঙ্গে সংগীত পরিবেশন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, এটা আমার জন্য ভিন্নরকম এক অভিজ্ঞতা। স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে শত শিশুর সঙ্গে এক মঞ্চে গাইতে পেরে ভালো লাগার অনুভব বিরাজ করছে মননে। এছাড়া আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবু সুরারোপিত দেশাত্মবোধক গানটির কথা ও সুর ভালো লেগেছে।        
বাংলা একাডেমির আলোচনা সভা : স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক একক বক্তৃতা করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক মফিদুল হক। সূচনা বক্তব্য দেন সচিব মোহা. নায়েব আলী। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। 
একক বক্তৃৃতায় মফিদুল হক বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা শুধু নির্দিষ্ট একটি বছরের বিষয় নয়। ঐতিহাসিক নানা কালপর্ব পেরিয়ে শিক্ষা অধিকারের সংগ্রাম, স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি অর্থাৎ আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিলিত ¯্র্েরাতধারায় বঙ্গবন্ধু আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কেন্দ্রভাগে থাকা প্রয়োজন দেশের প্রান্তিক মানুষের জীবন মানোন্নয়ন। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে, নিজেদের অপূর্ণতাগুলো দূর করে বাংলাদেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্বপ্ন অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে। 
সেলিনা হোসেন বলেন, স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতি যুগের পর যুগ লড়াই করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছে। স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও সুফল দেশের সব নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে সবাইকে দৃঢ়সংকল্প হতে হবে।

×