গেল বছর এবং চলতি বছর নিজের অনবদ্য অভিনয় দিয়ে নাট্যাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। শুধু বিশেষ বিশেষ দিবসেই যে তাকে বিশেষ বিশেষ নাটকে অভিনয়ে দেখা যায় এমন নয়, বছর জুড়েই ভাল ভাল গল্পের খ- নাটকে তার দেখা মেলে। তবে সংখ্যার দিক দিয়ে তা অনেকের চেয়ে কম। কারণ মেহজাবিন সব সময় গল্প এবং চরিত্রের প্রতি দারুণ মনোযোগী। গল্প এবং চরিত্র ভাল না লাগলে অনুরোধে কোন নাটকে বা টেলিফিল্মে অভিনয় করেন না তিনি। তার সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেন আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া
আনন্দকণ্ঠ : ঈদ ব্যস্ততা কেমন?
মেহজাবিন চৌধুরী : বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে। পুরোদমে কাজ চলছে ঈদের। এরেই মধ্যে বেশ কিছু কাজ শেষ করেছি। তার মধ্যে রয়েছে মিশুক মনির ‘রঙিন খামে ধুলো পড়া চিঠি’, মুরসালিন শুভর ‘আগুন’, আজাদ আল মামুনের ‘শেষ পৃষ্ঠা’ ইমরাউল রাফাত এর ‘নীরবতা’ নাটকের কাজ।
আনন্দকণ্ঠ : বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব বৈশাখ, কিন্তু মাত্র একটি নাটকে অভিনয়ের কারণ কী?
মেহজাবিন চৌধুরী : ‘দর্শকের কাছে নাটকের সংখ্যা নয়, নাটক ভাল না মন্দ- সেটাই বড় বিষয়। এ কারণেই চাই দর্শক ভাল কাজের মধ্য দিয়েই আমাকে মনে রাখুক। যে কারণে বাছ-বিচার করে কাজ করি। পহেলা বৈশাখে একটি মাত্র নাটক দিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ নাটকের গল্প ও চরিত্রে দর্শক ভিন্নতা খুঁজে পেয়েছেন।’
আনন্দকণ্ঠ : খ- নাটকের তুলনায় আপনাকে ধারাবাহিকে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ কী?
মেহজাবিন চৌধুরী : একক নাটকেই অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি মনে করি দর্শকরা এখন একক নাটকের প্রতি বেশি আগ্রহী। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে একটি নাটকের পুরো গল্প দর্শকরা দেখতে পায়।
আনন্দকণ্ঠ : অভিনয়ের সময় কোন বিষয় গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
মেহজাবিন চৌধুরী : আমি আগে নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়ে নিই। আমার চরিত্রটি বোঝার চেষ্টা করি। তারপর চরিত্রে প্রবেশ করি। আমি যে সময়টুকু স্পটে থাকি তখন পুরোটাই গল্পের চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকি। এছাড়া পরিচালকের চাওয়ানুযায়ী চরিত্রটি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। আনন্দকণ্ঠ : নাটকের সার্বিক অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
মেহজাবিন চৌধুরী : বর্তমানে অনেক ভাল নাটক নির্মাণ হচ্ছে। তবে তার সংখ্যা কম। এছাড়া ভালর সংখ্যা সব সময় কমই থাকে। শুধু নাটক নয়, আমাদের চলচ্চিত্র কিংবা সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও ভালোর সংখ্যা কম।
আনন্দকণ্ঠ : ভক্তদের জানার অধীর আগ্রহ। আপনকে চলচ্চিত্রে কবে দেখতে পাবে?
মেহজাবিন চৌধুরী : চলচ্চিত্র অনেক বড় জায়গা। সেখানে আমি একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে যাত্রা শুরু করতে চাই। পরিবারের সবাই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে উপভোগ করতে পারেন এমন ছবিতে আমার অভিষেক হোক এটি আমার স্বপ্ন। তবে যাই করি আমার ইমেজ ঠিক রেখেই আগামী পথ চলব।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: