ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাটকের মান খুবই ভাল হচ্ছে : তৌসিফ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নাটকের মান খুবই ভাল হচ্ছে : তৌসিফ

বর্তমান সময়ে যে কয়জন তরুণ তাদের অভিনয় প্রতিভা দেখিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম তৌসিফ মাহবুব। ধারাবাহিকভাবে গত কয়েক বছর তার অভিনীত বেশকিছু নাটক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। মডেলিং, অভিনয় দিয়ে তরুণ-তরুণীদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেনÑ আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : ‘পেন্সিলে আঁকা জীবন’ নাটকটি প্রসঙ্গে বলুন। তৌসিফ : গল্পে দেখা যাবে তারেক ভালবাসে পাশের ফ্ল্যাটের সুন্দরী তনুকে। আর তাই তনুর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানাভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। তনুর কাছে তারেক কে আরও বেশি বিরক্তিকর মনে হয়। আর সে কারণেই একদিন তারেককে অপমান করে। তারপর থেকে তারেক আর তনুকে বিরক্ত করে না। এদিকে ধীরে ধীরে তারেকের জন্য এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করে তনু। এক সময় তারেককে ভালবাসতে শুরু করে। সেই ভালবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তনুর মা। এমনই গল্পে আদিত্য জনি নির্মাণ করেছেন ‘ পেন্সিলে আঁকা জীবন’। নাটকটিতে আমার বিপারীতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। আনন্দকণ্ঠ : স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও বেশ সরব আপনি। পরবর্তী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আবার কবে দেখা যাবে? তৌসিফ : ভালবাসা দিবস উপলক্ষে কানামাছি ও কাঁচের পুতুল শিরোনামের দুইটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে দেখা যাবে আমায়। কানামাছির গল্পটা প্রেম কাহিনী নিয়ে। আমার বিপারীতে দেখা যাবে সাফা কবির কে। একজন অন্ধ ও খোরা কে নিয়ে গল্পটা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আনন্দকণ্ঠ : পাঁচ বছর পূর্ণ হলো মিডিয়াতে। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে অভিজ্ঞতা থেকে বলুন নাটকের মান কেমন মনে হচ্ছে? তৌসিফ : সত্যি কথা বলতে নাটকের মান খুবই ভাল হচ্ছে। আমি যে নাটকগুলোয় অভিনয় করছি তার মানও অনেক ভাল হচ্ছে। আরও ভাল করার চেষ্টা করছি। অনেক বেছে বেছে কাজ করছি। আমার কাছে যেটা খারাপ মান মনে হয় সেটা করছি না। সেই থেকে বললে নাটকের মান খুবই ভাল হচ্ছে। আনন্দকণ্ঠ : মানুষের জীবন তো সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির সংমিশ্রণ। দীর্ঘ পাঁচ বছরে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে আপনাকে। এতগুলো নাটকের মধ্যে, ঠিক কোন নাটকটিতে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি হয়েছেন? তৌসিফ : আসলে কোন নাটকে কাজ করে ১০০% সন্তুষ্ট হয়নি। কিন্তু আসন্ন ভালবাসা দিবসের একটি নাটকে অভিনয় করে খুবই তৃপ্তি পেয়েছি। রাহাত মাহমুদের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে নাটক ‘মন জুড়ে’। গল্পে দেখা যাবে কিশোর বয়সে সাগরের মা-বাবা দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার আশ্রয় জোটে গ্রামে মামার বাড়িতে। শহরের অবস্থাপন্ন পরিবারে অতি আদর যতেœ বেড়ে ওঠা সাগর অকালে এতিম হয়ে বুঝতে পারে জীবনের রূঢ় বাস্তবতা। গ্রামের সেই বাড়িতে মামার স্নেহ পেলেও পদে পদে মামির রোষানলে পড়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সাগরের জীবন। তার জীবনের একমাত্র স্বস্তির আশ্রয় তখন মামাতো বোন কুসুমের সঙ্গ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোটবেলার সেই ভাললাগা প্রেমে পরিণত হয়। কুসুম এবং সাগরের কাছে আসার বিষয়টা খেয়াল করে কুসুমের মা সাবধান করে সাগরের বাবাকে এবং সাগরকে কথার খোঁচায় আহত করে। তবু সাগর সংসারের পরিশ্রমের কাজগুলো হাসিমুখে করে যেত দিনের পরদিন। এদিকে কুসুমের আজন্ম সাধ নায়িকা হওয়ার। সেই গ্রামে বড় এক ডিরেক্টর শূটিং এর জন্য টিম নিয়ে এলে কুসুম জানতে পারে দুই লাখ টাকা জোগাড় করলে তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ হয়ে যাবে। নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর কুসুম এক সময় ন্যায়নীতি ভুলে নিজের মায়ের গয়না চুরি করে সাগরের হাতে দিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যাবার প্রস্তাব দেয়। কুসুমের জোরাজুরিতেও সাগর রাজি হয় না বরং সে গয়নাগুলো আলমারিতে ফেরত রেখে আসবার অনুরোধ করে। সাগর জানায়, গোপনে সে দিনের পর দিন ছোটখাটো পরিশ্রমের কাজ করে বেশ কিছু নগদ টাকা জমিয়ে রেখেছে কুসুমের স্বপ্ন পূরণের কথা মাথায় রেখে। এ রকম একটি গল্প নিয়েই নির্মাণ হয়েছে নাটকটি। নাটকটিতে আমাকে দেখা যাবে একজন চাষীরূপে। এ রকম গল্পে আগেও করে ছিলাম কিন্তু ওই চরিত্রের প্রেম অন্যরকম। কাজটি করার পর একটা তৃপ্তি পেয়েছি। এই কাজটি করে সন্তুষ্ট আমি। আনন্দকণ্ঠ : বিয়ের জন্য ফেব্রুয়ারি মাস নির্ধারণ করেছেন। কারণ কী? তৌসিফ : প্রেমের বিয়ে। দুটি জিনিসের প্রতি আমার প্রেম বেশি। একটি হচ্ছে আমার পরিবার। তো পরিবারের মধ্যে মা-বাবা, গার্লফ্রেন্ড সবাই-ই আসে। আরেকটি হচ্ছে আমার দেশ। বিয়ের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসটি আমি নিজেই বেছে নিয়েছি, কারণ- ভাষা ও ভালবাসার মাস। এ জন্যই আমি আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে যদি বিয়ে করি, তাহলে ফেব্রুয়ারিতেই করব। আমার হবু স্ত্রী মিডিয়ার কেউ নন। খুবই সাধারণ একজন মেয়ে। অনেক সুশীল ও সম্মানিত একটি পরিবারের মেয়ে। আনন্দকণ্ঠ : ‘স্ত্রী মিডিয়ার বাইরের মানুষ, আপনি মিডিয়ার। কেমিস্ট্রিটা ঠিকঠাক মিলবে তো?’ তৌসিফ : গত তিন বছর মিলেছে বাকিটা আল্লাহ ভরসা। মিডিয়া হোক বা মিডিয়ার বাইরে, নাটকে হোক কিংবা নাটকের বাইরে- একটা সম্পর্কে আন্ডারস্ট্যান্ডিং-মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকবেই এবং আমাদেরও আছে। বড় ধরনের মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। তারপরেও বলব, আমি সবচেয়ে সৌভাগ্যবান। আমাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং যথেষ্ট। অনেক দম্পতিই রয়েছেন যারা উভয়েই মিডিয়াতে কাজ করেও বড় ধরনের মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মধ্যে থাকেন। সুষমা মিডিয়ার বাইরে হওয়া সত্ত্বেও ওর সঙ্গে আমার যে পরিমাণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং, সেটি অন্য কোথাও দেখিনি। আনন্দকণ্ঠ : সম্প্রতি ব্যস্ততা কি নিয়ে? তৌসিফ : আমি বেশকিছু নতুন নাটকে অভিনয় করেছি যেগুলো সামনের ভালবাসা দিবস উপলক্ষে প্রচার হবে। এর মধ্যে কিছু চমকও থাকছে। এরইমধ্যে শেষ করেছি পষড়ংবঁঢ় কাছে আসার সাহসী গল্প নাম ঠিক না হওয়া মাবরুর রশীদ বান্নাহর একটি নাটকের কাজ। আমার বিপারীতে দেখা যাবে টয়াকে। গল্পটা চমক।
×