ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অষ্টম শ্রেণীর তথ্য ও প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

অষ্টম শ্রেণীর তথ্য ও প্রযুক্তি

প্রশ্ন-০১ : মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ভাইরাসমুক্ত থাকে কেন? কীভাবে পার্সোনাল কম্পিউটার ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে তা বিশ্লেষণ কর। উত্তর : মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ভাইরাসমুক্ত থাকার কারণ : মুক্ত বা ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমে ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে না। কারণ মুক্ত সফটওয়্যারের জন্য ভাইরাস তৈরি করা যায় না। ফলে এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য। পার্সোনাল কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত রাখার উপায় : পার্সোনাল কম্পিউটারটি ভাইরাস হতে সুরক্ষিত রাখতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে কম্পিউটার ভাইরাস কেন ছড়ায়। তারপর সেই অনুসারে আমাদের সচেতন হতে হবে। এই ভাইরাস পাশাপাশি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যেতে পারে না। এটি যেতে পারে শুধুমাত্র তথ্য-উপাত্ত কপি করার সময় বা নেটওয়ার্ক দিয়ে। একটা ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার থেকে যদি কোন সিডি বা পেনড্রাইভে কিছু কপি করে নেয়া হয় তবে ভাইরাসটাও কপি হয়ে যায়। পরে তা অন্য ভাল কম্পিউটারে লাগালে সেই ভাল কম্পিউটারও ভাইরাস আক্রন্ত হয়। তাই অন্য কম্পিউটার থেকে কিছু কপি করতে হলে সব সময়ই খুব সতর্ক থাকা উচিত। আজকাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দিয়েও কম্পিউটার ভাইরাস খুব সহজে অনেক কম্পিউটারের মাঝে ছড়িয়ে পরে। পৃথিবীতে অনেক দুষ্ট মানুষ আছে যারা নিয়মিতভাবে নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। সুতরাং আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। ডাউনলোড করার ব্যাপারেও সতর্ক হতে হবে। আমাদের নিয়মিত এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে এবং এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে অথবা মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম যা ভাইরাস আক্রান্ত হয় না তা ব্যবহার করলে পার্সোনাল কম্পিউটার ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। প্রশ্ন-০২ : এন্টিভাইরাস কী? সত্যিকারের ভাইরাস এবং কম্পিউটারে ছড়ানো ভাইরাসের মধ্যে কী মিল-অমিল আছে তা বর্ণনা কর। উত্তর : এন্টিভাইরাস : এনট্ভিাইরাস হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে। সত্যিকার ভাইরাস ও কম্পিউটার ভাইরাসের মিল-অমিল : সত্যিকারের ভাইরাস রোগজীবাণু বহনকারী-যার ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং ঠিকভাবে কাজ করতে পারি না। আর কম্পিউটার ভাইরাস এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার কারণে একটা কম্পিউটার ঠিক করে কাজ করতে পারে না। সত্যিকারের রোগজীবাণু বা ভাইরাস একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের কাছে গিয়ে তাকে আক্রান্ত করে। কম্পিউটার ভাইরাসও একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সত্যিকারের ভাইরাস মানুষের শরীরে এলে বংশ বৃদ্ধি করে অসংখ্য ভাইরাসে পরিণত হয়। কম্পিউটার ভাইরাসও সেরকম। সত্যিকারের ভাইরাস মানুষের অজান্তে মানুষকে আক্রান্ত করে, কম্পিউটার ভাইরাসও সবার অজান্তে একটা কম্পিউটারে বাসা বাঁধে। সত্যিকারের ভাইরাস নির্মূলে আমাদের সচেতন থাকতে হয় এবং অসুস্থ হলে ওষুধ খেতে হয়, কম্পিউটার ভাইরাসের হাত থেকেও বাঁচতে আমাদের সচেতন থাকতে হয় এবং কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম রাখতে হয়। এসবই সাদৃশ্য, সত্যিকারের ভাইরাস এবং কম্পিউটারের ভাইরাসের মাঝে শুধু একটিই পার্থক্য, একটি প্রকৃতিতে আগে থেকে আছে, অন্যটি অর্থাৎ কম্পিউটার ভাইরাস কিছু অসৎ সেগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।
×