ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টুকরো খবর

ইউরোপের তিন প্রদর্শনীতে অংশ নেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে এ্যাপারেল সোর্সিংয়ের জন্য ইউরোপের প্রধান বাণিজ্য মেলা এ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস। অন্যদিকে ফ্যাব্রিকস, ট্রিমস ও অন্যান্য ফ্যাশন অনুষঙ্গের ক্রেতা-বিক্রেতার বৃহৎ মিলনমেলা টেক্সওয়ার্ল্ড প্যারিস। এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রদর্শনীর জন্য পরিচিতি পেয়েছে লেদারওয়ার্ল্ড প্যারিস। আগামী ১১-১৪ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের এক্সিবিশন সেন্টারে একই সঙ্গে প্রদর্শনী তিনটির আয়োজন করবে মেসে ফ্রাংকফ্রুর্ট। এবারের টেক্সওয়ার্ল্ড, এ্যাপারেল সোর্সিং ও লেদারওয়ার্ল্ড প্যারিসে বাংলাদেশ থেকে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে সরাসরি। বাকিরা অংশ নেবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্যাভিলিয়নের অধীনে। প্রদর্শনীতে ফ্যাব্রিক ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আকিজ টেক্সটাইল, এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল, মমটেক্স এক্সপো, সিলভার কম্পোজিট ও যাবের এ্যান্ড যুবায়ের ফ্যাব্রিকস। ডেনিম ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে এ্যারন ডেনিম, আর্গন ডেনিম, চিটাগং ডেনিম মিলস, এভিন্স টেক্সটাইল, এনজে টেক্সটাইল ও নাইস ডেনিম। এ্যাপারেল ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে এ্যাডাম এ্যাপারেলস, আমা সিনটেক্স, বঙ্গ গার্মেন্টস, ডেলফিটেক্স ইন্ডাস্ট্রি/ রেদওয়ান টেক্স এ্যান্ড এ্যাপারেলস, ইউরো নিটওয়ার, ফ্যাব্রিকা নিট কম্পোজিট, গ্রিন স্মার্ট শার্ট, হেলেনিক সোর্সিং হংকং/ হেলেনিক গ্রুপ, মার্স স্টাইল এ্যান্ড ফ্যাশন, মনিরা নিট এ্যাপারেলস, প্যাসিফিক এক্সপোর্ট, প্রুডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল, সিমুরা নন ওভেন/ সিমুরা গ্রুপ, সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, টিম সোর্সিং, টেক্সপিয়ন ও টোডস প্রিন্টিং। টেক্সওয়ার্ল্ড ও এ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিসে বাংলাদেশ, চীন, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও পাকিস্তানের তৈরি পোশাক ও ফ্যাশন অনুষঙ্গ প্রস্তুতকারকরা তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। আর দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লেদারওয়ার্ল্ড প্যারিসে ট্যানারির পাশাপাশি পরিধেয় চামড়াজাত পণ্য প্রদর্শিত হবে। ২০ লাখ ডলারের রফতানি আদেশ পেল ‘প্রাণ’ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ‘সুইটস ও স্ন্যাকস’ পণ্যের মেলা জার্মানির আইএসএম ফেয়ারে প্রায় ২০ লাখ ডলারের রফতানি আদেশ পেয়েছে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ। জার্মানির কোলনে গত ২৭-৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১ হাজার ৭০০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। মেলায় প্রাণের স্টল পরিদর্শন করেন ৫০টি দেশের আমদানিকারকরা। প্রাণ এক্সপোর্ট লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এবারের মেলায় ১০টি নতুন পণ্যসহ সুইটস ও স্ন্যাকস ক্যাটাগরিতে দুই শতাধিক পণ্য প্রদর্শন করে প্রাণ। মেলায় প্রাণ পণ্যে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ ও সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, আইএসএম ফেয়ারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রাণ পণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। সূর্যমুখীর চাষাবাদে আর্থিক লাভ দূর থেকে বিশাল আয়তনের হলুদ গালিচা মনে হলেও কাছে এলে চোখে পড়ে হাজারও সূর্যমুখী ফুল। এই দৃশ্য ফরিদপুর সদর উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খামারের। বর্তমানে বিএডিসির প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে এ ফুলের চাষাবাদ শুরু“ হয়েছে। এতে আর্থিক লাভের পাশাপাশি বাড়ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও। সরকারের সহযোগিতায় আগামীতে ব্যাপকভাবে চাষের আগ্রহ ফুল চাষীদের। দেশের প্রান্তিক চাষীরা যাতে এই বীজ সংগ্রহ করে রবি শস্য হিসাবে উৎপাদন করতে পারে, সেজন্য বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাগানের এই ফুল দেখতে প্রতিদিনই আসছে সৌন্দর্য প্রেমীরা। দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে আমরা এসেছি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। অনেক ছবি তুলেছি, আমাদের খুব ভাল লাগছে। সূর্যমুখী চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমরা চাষীদের সূর্যমুখী চাষে আগ্রহের জন্য বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি। আর বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের তথ্য মতে, এ বছর ফরিদপুর বিএডিসির বাগানে ২ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ২২ মণ বীজ উৎপন্ন হবে। অর্থনীতি ডেস্ক
×