ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চামড়া পাচার রোধে চাঁপাই সীমান্তে কড়াকড়ি

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চামড়া পাচার রোধে চাঁপাই সীমান্তে কড়াকড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি পৌরসভাসহ ৪৫ ইউপিতে এবার কোরবানির সংখ্যা বেশি হলেও কাঁচা চামড়া নিয়ে বড় ধরনের জট বেঁধেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় বিশেষ করে জেলা শহরের চুনারীপাড়া সংলগ্ন প্রায় ডজন খানেক চামড়া ব্যবসায়ী ঈদের সাত দিন পার হয়ে যাবার পরেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ চামড়াও তাদের কাছে আসেনি। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত জুড়ে চামড়ার মৌজুদ সব চেয়ে বেশি। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা চামড়া মজুদ করে লবণ মাখিয়ে রেখে দিয়েছে। এখানকার অধিকাংশ ফড়িয়া ওপারের অর্থ ও ভারতীয় লবণ ব্যবহার করে চামড়া মজুদ করেছে। দেশের প্রচলিত বেঁধে দেয়া রেটের অনেক বেশি দাম দিয়ে তারা চামড়া কিনেছে। সীমান্তে চামড়া মজুদের কারণেই আশানুরূপ চামড়া কিনতে পারেনি জেলা ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা। সীমান্তে চামড়া মজুদের অন্যতম কারণ হচ্ছে পাচার করা। কিন্তু বিজিবি সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা ও অঘোষিত রেড এলার্ট জারি করায় ক্ষুদে মজুদদারেরা সুবিধা করতে পারে না। তারা অপেক্ষা করে সীমান্তের কড়াকড়ি সতর্কতা শিথিল হওয়া মাত্রই ঠেলে দেবে ওপারে। কিন্তু বিজিবির একাধিক সূত্র মিডিয়াকে জানিয়েছে তারা বিষয়টি অবগত রয়েছে এবং বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারি বাড়িয়েছে। বিজিবি যে সতর্কতা ব্যবহার করে ভারতীয় গরু আসা ঠেকিয়েছে, একই কৌশল ব্যবহার করে চামড়া পাচার রুখে দেবে ও দিয়েছে। যেসব ক্ষুদে ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া চামড়া সংরক্ষণ করেছে তাদের বক্তব্য হচ্ছে, নিজস্ব কোন মূলধন নেই। এমনকি লবণও পেয়েছে বিনা পয়সায়। বিধায় চামড়া নষ্ট হলে কিংবা সিজ করে নিয়ে গেলে তারা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এ বছর সদরের আলাতুলি, বাখের আলী, জোহরপুর, শিবগঞ্জের মাসুদপুর, মনোহরপুর, ভোলহাটের পোল্লাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি চামড়া। পদ্মা ও মহানন্দার ওপারে ভারত। তাই ইঞ্জিনচালিত বোট রেডি করে রেখেছে। সীমান্ত এলাকা থেকে আশানুরূপ চামড়া না আসার কথা স্বীকার করে জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন জানান, দুটি কারণে চামড়া চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে চামড়ার দাম প্রায় দ্বিগুণ। বিজিবি ৯ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কর্নেল আবুল এহসান মিডিয়াকে জানান চামড়া পাচার ঠেকাতে তারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তবে ফড়িয়াদের চামড়া মজুদের ব্যাপারে বলেন, তারা যদি মজুদ করে অতিরিক্ত দাম পাবার আশা করে বিজিবির বলার কিছু নেই। তবে অনেক বেশি চামড়া সংরক্ষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি বেসরকারী সূত্র নিশ্চিত করেছে এবার চাঁপাই সীমান্তে কয়েক লাখ গরু ছাগল ও মহিষের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করা হয়েছে (লবণ মিশিয়ে)।
×