ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চক্রের দুজন গ্রেফতার

সড়কে পাগল সেজে মোটরসাইকেল ছিনতাই করত ওরা

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২৪ মে ২০২২

সড়কে পাগল সেজে মোটরসাইকেল ছিনতাই করত ওরা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ পাগল সেজে সড়ক-মহাসড়কে ঘুরে বেরিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে মোটরসাইকেলসহ গাড়ি ও মালামাল ছিনতাই করে আসছিল ওরা। শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আহত করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে একটি আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পেয়েছে গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। সোমবার গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার শাহজাদপুর থানাধীন রামচন্দ্রপুর এলাকার খোরশেদ প্রামাণিকের ছেলে রায়হান প্রামাণিক (২৭) এবং সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন ঘটিয়া (চর মাইজেল) এলাকার ইমান আলীর ছেলে হাসমত আলী ওরফে আবুল হাশেম (৩৪)। পিবিআইয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ২৩ নবেম্বর রাত দেড়টার দিকে ডিউটি শেষে কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাকের নিউ লাইন ক্লথিং লিঃ কারখানা এলাকা হতে মোটরসাইকেলযোগে পুলিশ লাইনের দিকে যাচ্ছিলেন শিল্প পুলিশের সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজারের কাছে পৌঁছলে পাগল বেশে এক ব্যক্তি কাঠের ডাসা হাতে নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় পাশেই ওঁৎপেতে থাকা অপর কয়েক ব্যক্তি রাম দা, ছুরি, ডেগারসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীকে ঘেরাও করে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মারধর করতে থাকে। এতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান ফারুক। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে চন্দ্রার দিকে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফারুক। থানা পুলিশ প্রায় ১৫ দিন এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। কিন্তু ক্লুলেস এ মামলাটির কোন রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই গাজীপুর জেলাকে দেয়া হয়। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত রায়হান ও হাসমতকে গ্রেফতার করে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃতরা। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত রায়হান এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রবিবার আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পাগলের বেশ ধরে কৌশলে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে চালককে মারপিট ও আঘাত করে ছিনতাই ও সেগুলো বিক্রি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা ইতিপূর্বে একই কৌশলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মোটরসাইকেল ছিনতাই করে সেগুলো বিক্রীর কথা স্বীকার করেছে।
×