ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনুমোদনের চার বছর পর চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ২৯ অক্টোবর ২০২১

অনুমোদনের চার বছর পর চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অনুমোদনের প্রায় চার বছর পর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি হলো। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও চীনা এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে প্রকল্পটির ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় চীনা এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশকে ৯ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা দেবে। চীনা পলিসি প্রিফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) আওতায় ঋণ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং চীনা এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝাং তিয়ানকিন চুক্তিতে সই করেন। রাজধানীর যানজট কমাতে গত ২০১৭ সালে অক্টোবরে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক। পিবিসি ঋণচুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ, ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছর মেয়াদী শর্তে চীনা এক্সিম ব্যাংকের এই ঋণের অর্থ দেয়া হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়িত হলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী আশুলিয়া অংশে যানজট কমে যাবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের এলাইনমেন্টের মধ্যে অবস্থিত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল চন্দ্রা করিডোরে যানজট কমে যাবে। বিমানবন্দর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল দিয়ে ইপিজেড পর্যন্ত অংশে নির্মাণ করা হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। মূল উড়াল সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য তৈরি করা হবে ১৬টি র‌্যাম্প বা সংযোগ সড়ক। র‌্যাম্পগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে উড়ালসড়ক ছাড়াও ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি নবীনগর এলাকায় নির্মাণ করা হবে এক দশমিক ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার। এছাড়াও প্রকল্পে দুই দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু ৫০০ মিটার ওভারপাস, ইউটিলিটির জন্য ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ ও ডাক্ট এবং পাঁচটি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েঠে ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। ৯ হাজার ৪৭২ কোটি দেবে চীন সরকার। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দেবে। প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন।
×