ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১৭ অক্টোবর ২০২১

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া থেকে সখিপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট পযর্ন্ত দীর্ঘ প্রায় ৪০ কিলোমিটার শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা। এ সড়কের ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদর, বুড়িরহাট, কাশেমপুর, ফেলিরচর, মোল্লারহাটসহ প্রায় ২০টি স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা মেরামতের দাবিতে ভেদরগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিদিনই এ সড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ মালবাহী ট্রাক উল্টে যাওয়ার বা কাঁদায় আটকে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। হরহামেশা ঘটছে দুর্ঘটনা। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে মানুষ। শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর দিয়ে খুলনা-চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক হাজার ভারী যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু সমান গর্তের কারণে যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে পুকুরের মত হয়ে পড়ছে সড়ক। সড়কগুলোর অনেক স্থানে কালো পিচের কোন চিহ্ন নেই। পিচঢালা উঠে লাল ইটের কণা বেড়িয়ে পড়েছে। রোদ ওঠলেই ছড়াচ্ছে অসহনীয় ধুলাবালি। ২০১৪ সালের শেষের দিকে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হলেও এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে থাকা ৬ টি উপজেলার প্রায় ১০ টি প্রধান সড়কের বেহাল দশা। সদর উপজেলার বুড়িরহাট থেকে ভেদরগঞ্জ, বুড়িরহাট-ডামুড্যা, সখিপুর-গোসাইরহাট, শরীয়তপুর-জাজিরা, নড়িয়া-জাজিরা, শরীয়তপুর-নড়িয়া, নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কসহ জেলার ৬ টি উপজেলার অন্ততঃ ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট, বালু, পাথর ও সুরকি সরে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়ক বিভাগের অধীনে থাকা রাস্তাগুলো মেরামতের ৬ মাস যেতে না যেতেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক মেরামত করার জন্য জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহবান না করে নিজস্ব অফিসের কর্মচারী দিয়ে মাঝে মধ্যে ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় ইট-বালু, পাথর, সুরকি ফেলে বিল-ভাউচার করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তারা সড়ক মেরামতের চেষ্টা করলেও তা সুফল বয়ে আনছে না জেলাবাসীর জন্য। সড়ক মেরামতের নামে রাস্তায় যে সব ইট-বালু ফেলা হয় তা এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
×