নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড়ের নতুনবাজার এলাকায় স্বামী-স্ত্রী ও মেজো ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার শিকার তিনজন হলেন মুদি দোকানদার মোস্তফা সওদাগর (৭০), তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৫৫) ও ছেলে আহমেদ হোসেন (২৫) । বৃহস্পতিবার ভোরে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পরিবারের বড় ছেলে ও তার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা সওদাগরের বড় ছেলে সাদ্দামের শ্যালিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করে তার ছোট ছেলে আলতাফ। কিন্তু তাদের এই বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার। এছাড়াও মেজো ছেলে আহমেদ হোসেনকে কিছু সম্পত্তি লিখে দেয় পিতা মোস্তফা সওদাগর। এই নিয়ে দীর্ঘদিন পারিবারিক কলহ চলছিল। কলহের জের ধরে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, জোরারগঞ্জের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় একই বসতঘরে পরিবারের সবাই ঘুমিয়েছিলেন। মোস্তফা, তার স্ত্রী ও মেজো ছেলেকে হত্যা করলেও বড় ছেলে ও তার স্ত্রী অক্ষত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পরিবারের বড় ছেলে ও তার স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি রহস্যজনক। ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য বের করা হবে।
নিহত মোস্তফার ছোট ছেলে আলতাফ হোসেন জানান, তিনি রাতে কর্মস্থলে ছিলেন। প্রতিবেশী এক নারী ফোন করে তাদের ঘরে ডাকাত ঢুকেছে, তার বড় ভাই চিৎকার করছে বলে জানান। বাড়িতে এসে বাবা-মা ও মেজ ভাইয়ের লাশ দেখতে পান তিনি।
ডাকাতের কা- হিসেবে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকলেও পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকা-, এমনই মনে করছে এলাকার লোকজন। কেননা, ডাকাতির হামলায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা অস্বাভাবিক ঠেকছে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মীরসরাই সার্কেল) এএসপি মোঃ লাবীব আব্দুল্লাহ বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মোস্তফা সওদাগর, তার স্ত্রী ও ছেলের কোপানো লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের গলায় দাগ ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কোপানোর কারণে লাশ বীভৎস হয়ে আছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: