ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮শ’ টাকা

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৮শ’ টাকা

সংসদ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরো হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৩১ মিলিয়ন। এই হিসাবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার (প্রায় ২৪ হাজার ৮শ’ টাকা)। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার সঙ্গে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে। ছাড়ের অপেক্ষায় আছে ৪৬ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকারী দলের অপর সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতান যেমন স্বপ্ন, আগোরা, প্রিন্স বাজার, ডিএসএস ও লাজ ফার্মাসহ বড় বড় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের থেকে হতে যে ভ্যাট আদায় করে তা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয়। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে স্বপ্ন হতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আগোরা হতে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, প্রিন্স বাজার হতে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও ডিএসএস হতে ৫ লাখ টাকা আদায় হয়েছে এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, ওষুধের মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে সকল ভ্যাট উৎপাদন পর্যায়ে আদায় হয়ে থাকে। তাই খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করে তা জমা দিতে হয় না। লাজ ফার্মা ওষুধ ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের ওপর আদায়কৃত মূসক সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে থাকে। লাজ ফার্মা হতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ভ্যাট সরকারী কোষাগারে জমা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুযায়ী ভ্যাট আদায়কালীন স্বচ্ছতা নিশ্চিতকল্পে ক্রেতাকে মূসক-৬.৩ ফর্মে একটি ভ্যাট চালান প্রদান করা ইতোমধ্যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এটি চলমান আছে।
×