ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল কোর্টে দন্ডপ্রাপ্ত দুই শিশুকে তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশ

প্রকাশিত: ২১:২৪, ৫ আগস্ট ২০২১

মোবাইল কোর্টে দন্ডপ্রাপ্ত দুই শিশুকে তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দন্ড দেয়া দুই শিশুকে তাৎক্ষনিক মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় হামলার অভিযোগের মামলায় হেফাজত ইসলামের আরও চার কর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এসব আদেশ প্রদান করেন। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দন্ড দেয়া দুই শিশুকে তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রীমকোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, নেত্রকোনায় শিশুদের সাজা দেয়ার বিষয়টি নজরে আনার পর সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম দুই শিশুকে মুক্তির বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে নেত্রকোনার ডিসিকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেন। আমি নেত্রকোনা ডিসিকে টেলিফোনে আদালতের আদেশের বিষয়টি অবগত করি। তিনি জানান, ওই দুই শিশুকে ইতোমধ্যে আপীল শুনানি করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর আগে সকালে শিশুদের মুক্তির জন্য স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে লিখিত আবেদন করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। আইনজীবী শিশির মনির চিঠিতে লেখেন, ৪ আগস্ট একটি দৈনিকে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে দুই শিশুকে দন্ড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে জানতে পারি, নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে দুই শিশুকে এক মাসের সাজা দিয়েছেন। এই রিপোর্ট পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শিশু আইনের অধীন মোবাইল কোর্টের কোন এখতিয়ার নেই। ফলে অত্র সাজা এখতিয়ারবহির্ভূত। পটিয়া থানায় হামলা মামলায় আরও চারজনের জামিন ॥ চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় হামলার অভিযোগের মামলায় হেফাজত ইসলামের আরও চার কর্মীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- মোঃ ফোরকান উদ্দিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ মকবুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে ফারুক এবং সোহেল। বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার পৃথক আদেশে ওই চারজনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও মোঃ আল আমীন আবদুল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ রেজাউল হক।
×