মালয়েশিয়ায় ১০২ বাংলাদেশী গ্রেফতার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই চলছে ধরপাকড় অভিযান। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে অভিবাসন বিভাগের অভিযানে ১০২ বাংলাদেশীসহ ৩০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর বারনামার। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলা অভিযানে সেলাঙ্গর প্রদেশের মুকিম, ডেংকিল এলাকার একটি কন্সট্রাকশন সাইড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ১০২ বাংলাদেশী, ১৯৩ জন ইন্দোনেশিয়ার, আটজন মিয়ানমার (রোহিঙ্গা), চারজন ভিয়েতনাম এবং দুইজন ভারতের নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৮০ জন পুরুষ এবং ২৯ জন নারী। নারীদের মধ্যে সবাই ইন্দোনেশিয়ান। অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ইন্দেরা খায়রুল দাযাইমি দাউদের নেতৃত্বে অভিবাসন বিভাগ, জেনারেল মুভমেন্ট টিম (পিজিএ), জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগ (জেপিএন), জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং শ্রম বিভাগের ১৮৯ জন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে ৭১৫ জন অভিবাসী আটকের পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেফতারদের প্রথমে করোনা টেস্ট করা হবে, পরে সেমেনিয়াহ ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দাযাইমি দাউদ জানিয়েছেন, স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায়- মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (পিকেপি) এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকছেন এসব অভিবাসী। অভিবাসন বিভাগ বলছে, বিভিন্ন অপরাধে ২০ থেকে ৫২ বছর বয়সী এই বিদেশীদের ১৯৫৯/৬৩-এর ইমিগ্রেশন আইন এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩-এর আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গত ৬ জুন দেশটির সাইবারজায়ার একটি বিল্ডিং নির্মাণ স্থাপনা থেকে ৬২ বাংলাদেশীসহ ১৫৬ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।