ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আপিলে বাতিল নারী জঙ্গি প্রিয়তির জামিন

প্রকাশিত: ১৬:০৪, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

আপিলে বাতিল নারী জঙ্গি প্রিয়তির জামিন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নারী সদস্য রাজধানীর আজিমপুর থেকে আটক হওয়া নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই জামিন আবেদন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেটির শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানা থেকে নারীসহ কয়েকজন জঙ্গি ধরা পড়ে। সেখানে আফরিন ওরফে প্রিয়তি নামে একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি তখন পুলিশের ওপরও আক্রমণ করেছিল। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে ওই নারী জবানবন্দি দিয়েছিল। সেখানে সে স্বীকার করে তার স্বামীসহ তারা জঙ্গি কাজে জড়িয়ে পড়ে। হলি আর্টিজানে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ ছিল। তার স্বামী নুরুল ইসলাম মারজান জঙ্গি আস্থানায় মারা গেছেন। জঙ্গি কার্যক্রম চলাকালে ওই নারী গর্ভবতী ছিলেন। এরপর তার একটি সন্তান হয়। ওই গ্রাউণ্ডে হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছিল। এরপর ওই জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করে। আপিল বিভাগ আজ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন বাতিল করে আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার আজিমপুরে বিডিআর ২ নম্বর গেটের পাশে এক বাড়িতে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে ওই বাড়ি থেকে তানভীর কাদেরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির তিন নারী সদস্যের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ওই মামলায় বিচার চলা তিন নারী জঙ্গী হলেন- জেএমবির অন্যতম সমন্বয়ক তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা, নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি এবং বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেটের স্ত্রী শায়লা আফরিন। এছাড়া ওই অভিযানে নিহত জঙ্গি নেতা তানভীর কাদেরী এবং মোছাম্মত শাহানাজ বেগম ওরফে শাহনাজ পারভীনের নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনাল সুত্র জানায়। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে আজিমপুরে ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তানভীর কাদেরী আত্মঘাতী হন। ওই অভিযানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন খাদিজা, প্রিয়তি ও শায়লা। অভিযান চালাতে গিয়ে নারী জঙ্গিদের ছুরিকাঘাত ও মরিচের গুঁড়ায় সেদিন পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আহসানুল হক ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
×