ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদহম আজ

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৭ নভেম্বর ২০২০

পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদহম আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদহম আজ। সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হবে। গাউসুল আযম বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (র.)-এর ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এ দিন ‘ফাতেহা ইয়াজদহম’ নামে পরিচিত। মূলত তার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে মুসলিমদের দোয়া অনুষ্ঠানই হচ্ছে ‘ফাতেহা ইয়াজদহম’। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। ইয়াজদহম ফারসী শব্দ, যার অর্থ এগারো। ‘ফাতেহা ইয়াজদহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো-এর ফাতেহা শরিফকে বোঝায়। এই পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদহম হজরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানি (র.)-এর স্মরণে পালিত হয়। এদিকে ফাতেহা ইয়াজদহম উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলোচনা সভা, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিন। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হবে। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর ১১ রবিউস সানি ফাতেহা ইয়াজদহম পালন করা হয়। এদিন বড় পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানি (র.)-এর ওফাত দিবস। হিজরী ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি তিনি ইন্তেকাল করেন। ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ধর্মীয় মনীষীর নাম প্রত্যেক মুসলমানের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে তার প্রভাব অপরিসীম। তার জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানদের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে। হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওফাতের প্রায় ৫০০ বছর পর জন্মগ্রহণ করেন। তখন ইসলাম ধর্ম এক নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল। পবিত্র কোরান ও আল্লাহর রাসুল মুহম্মদ (সা.)-এর আদর্শ ভুলে মানুষ বিপথে পা বাড়িয়েছিল, ঠিক এমনই সময় হজরত বড় পীর ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আবু সালেহ এবং মায়ের নাম বিবি ফাতেমা। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (র.) ৪৭০ হিজরীতে ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মায়ের কাছে পবিত্র কোরানের আঠারো পারা পর্যন্ত মুখস্থ করেন। অল্প বয়সেই সমস্ত কোরান মুখস্থ করতে সক্ষম হন। পিতার নিকট সুফীবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। পিতার মৃত্যুর পর ১৮ বছর বয়সে তৎকালীন মুসলিম দর্শনের বিদ্যাপীঠ মাদ্রাসায়ে নিজামিয়াতে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি অবিরাম ইসলাম প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন। ধর্মীয় সভা-সমাবেশে মানুষের আত্মশুদ্ধি ও আত্মউন্নতির জন্য উপদেশ দান করেছেন। অনেক মহামূল্যবান গ্রন্থ রচনা করে গেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑ গুনিয়াতুত ত্বলেবীন, সিররুল আসরার, আল ফাতহুর রব্বানী, ফাতহুল গুয়ুব এবং আল-কাসিদা নামে একটি কাব্যগ্রন্থ। তার এসব গ্রন্থ পৃথিবীর ২৩ ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
×