ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে ১১বসতঘর উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ২৭ অক্টোবর ২০২০

কক্সবাজারে ১১বসতঘর উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ার খুটাখালী জুমনগর এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১০টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। চিহ্নিত দখলদার বাহিনীর কবল থেকে প্রায় ৪ একর সরকারি বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ অভিযানে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মাজহারুল ইসলাম, মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মামুন মিয়া, বিশেষ টহল টীমের দলনেতা একেএম আতা ইলাহী ও বিভিন্ন রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও স্টাফগণ উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। অভিযান প্রসঙ্গে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া জানান, সম্প্রতি জুমনগর এলাকায় ২০১৮-১৯ সালের স্বল্প মেয়াদী ১০ হেক্টর বাগানে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছিল চিহ্নিত কয়েকজন দখলবাজ। বিভিন্ন সময় বনকর্মীরা উচ্ছেদ অভিযানে গেলে দখলদাররা তাঁদের বাধা দেয়। মঙ্গলবার ভোরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সামাজিক বনায়ন থেকে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১০টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি জানান, সংরক্ষিত বনে কোনো অবৈধ বসতি গড়তে দেয়া হবে না। যেকোনো উপায়ে দখলদারদের প্রতিহত করা হবে। নেয়া হবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বন বিভাগের জমি দখলদার ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বনভূমি দখল, বালু উত্তোলনসহ জবর দখলকাজে একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত রয়েছে। দখলবাজির সঙ্গে সরকারি দলের কয়েককজনের নামও উঠে এসেছে। তথ্যমতে, খুটাখালীর মধুশিয়া এলাকায় আনোয়ার মেম্বার, নূর মোহাম্মদ পেটান, সাইফুল ইসলাম, মিন্টু, লিটন, ফারুক, বেলাল, রাশেদ, আবদুশ শুক্কুর, শাহজালালসহ অন্তত ২০ জনের একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। মেধা কচ্ছপিয়া এলাকার জিল্লুর রহমান, আবদুল মান্নানসহ ১০-১৫ জনের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারি বনভূমি দখল ও বিক্রি করে অনেক টাকার মালিক বনেছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলবাজি ও বালু উত্তোলন করছে। এই সিন্ডিকেট সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসবে দখলদারদের অপকর্মের বহু অজানা কাহিনী। এদিকে রামু গর্জনিয়া থিমছড়ি হরিণ পাড়ার সামাজিক বনায়ন এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন বাঁকখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহীর নেতৃত্বে বন বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, উত্তর বন বিভাগ এর বাঁকখালী রেঞ্জাধীন গিলাতলী বিটের থিমছড়ী এলাকার সামাজিক বনায়ন এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপনা করেছে জানতে পেরে হরিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ করায় অবৈধ বসতঘরটি সামাজিক বনায়ন রক্ষা হয়েছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি দৈনিক জনকণ্ঠে বনজসম্পদ দখল করে ঘর নির্মাণের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
×