ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের নির্দেশে দুই বোনকে বাসায় তুলে দিল পুলিশ

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২৭ অক্টোবর ২০২০

হাইকোর্টের নির্দেশে দুই বোনকে বাসায় তুলে দিল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে রাজধানীর গুলশানের দুই বোন মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশ্বেরা মোস্তফাকে গুলশানের বাড়িতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে গুলশান থানার পুলিশ ওই দুই বোনকে বাড়িতে তুলে দেয়। এর আগে সোমবার ছুটির দিনে আদালত বসে ওই দুই বোনকে অবিলম্বে বাড়িতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়। সুপ্রীমকোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ কথা জানান। তিনি বলেন, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তাকে ফোন করে ওই দুই বোনকে বাসায় তুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানিয়েছেন, তিনি (ওসি) আদালতের আদেশ মতো মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশ্বেরা মোস্তফাকে গুলশানের বাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছেন এবং বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এলে বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রাত সোয়া সাতটার দিকে স্বপ্রণোদিত রুলসহ ওই আদেশ দেয়। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে সোমবার রাতেই তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর বাড়িটি। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুলের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পেশায় পাইলট ছিলেন। ভাইবোনদের মধ্যে শুধু সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুইদিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তার মাকে নিয়ে বাবা গুলশানের এই বাসাতেই সংসার শুরু করেছিলেন। তাদের জন্ম এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয়কে তাদের বাবা বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন।
×