ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নকল মাস্ক সরবরাহকারী শারমিন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২২:১১, ২৫ জুলাই ২০২০

নকল মাস্ক সরবরাহকারী শারমিন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নকল মাস্ক সরবরাহের মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন। রাতেই তাকে (শারমিন) শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে। এর আগে বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে আসামি করা হয়। শুক্রবার শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পুলিশ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বলছে, প্রথম ব্যাচের চিকিৎসকরা ডিউটি শুরু করার পর তাদের দেয়া হয় ৮২১০ এন ৯৫ মাস্ক। তাতেও চিকিৎসকদের কোন অভিযোগ ছিল না। কিন্তু তৃতীয় গ্রুপের চিকিৎসকরা কাজ শুরু করতেই বিপত্তি দেখা দেয়। তাদের দেয়া হয় নকল এন ৯৫ মাস্ক। নকল মাস্কগুলোতে লেখা ভুল, লট নম্বর নেই। প্রকৃতপক্ষে আসল এন ৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করেছে কোম্পানি। পরে চিকিৎসকরা বিষয়টি হাসপাতাল পরিচালকের নজরে আনেন। এরপর নকল মাস্কগুলো বদলে দেয়া হয়। বদলে দেয়া মাস্কগুলোও নকল। সূত্র বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ছাড়াই নিজস্ব লোকদের মাধ্যমে এসব কেনাকাটা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়নি, মান যাচাই না করে, যাচাই-বাছাই কমিটি ছাড়াই এসব কেনাকাটা সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীদের জন্য একেকটি গ্রুপে ৪৫ আবাসিক চিকিৎসক থাকেন। তাদের প্রত্যেককে পাঁচটি করে মাস্ক দেয়া হয় সাতদিন ব্যবহারের জন্য। তাদের প্রায় সকলেই দুই থেকে তিনটি করে নকল মাস্ক পেয়েছেন। চিকিৎসকদের দাবি, যারা নকল মাস্ক সরবরাহ করেছে তাদের হাসপাতালের চুক্তি আছে। তাই তারা যদি সব সময়ই নকল মাস্ক সরবরাহ করতে থাকে তাহলে তাদের সুরক্ষা বলতে কিছুই থাকবে না। এতে চিকিৎসা ব্যাহত হবে। চিকিৎসকরা জানান, মাস্ক ও অন্যান্য পিপিই কেনার সঙ্গে পরিচালক অফিসকে নিযুক্ত করা হয়। যাদের দায়িত্ব ছিল মাস্কের কোয়ালিটি নিশ্চিত করা, তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এত শিক্ষক ও চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও ‘কোয়ালিটি নিশ্চিতের’ জন্য আলাদা একটি কমিটি করা যায়নি। এটা নিঃসন্দেহে একটি অব্যবস্থাপনা। এমন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তে শেষে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়াও জরুরী।
×