ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ

দেশে করোনায় মৃত্যু আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৮ জুলাই ২০২০

দেশে করোনায় মৃত্যু আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই লাখে পৌঁছে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫১ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন ৩০৩৪। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৫৪৭ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৭৬২ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৬০টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৭৯১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ। শুক্রবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫১ জনের মধ্যে ৪০ পুরুষ, আর নারী ১১। তাদের বয়স বিভাজনে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ছয়, রাজশাহী ও সিলেটে তিন এবং রংপুর বিভাগে চারজন রয়েছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন দুই হাজার ১১ জন; যা ৭৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং নারী ৫৩৬; যা ২১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২, আর বাড়িতে মারা গেছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৭, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৬৬, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭৫৭ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার ১২২ জন রয়েছেন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন এক হাজার ২৫৫, যা ৪৯ দশমিক ২৮ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৫, যা ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৩১, যা ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ১৫৫, যা পাঁচ দশমিক ৮৯ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ৯৭, যা তিন দশমিক ৮১ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১১৬, যা চার দশমিক ৫৫ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ৮৭, যা তিন দশমিক ৪২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৬, যা দুই দশমিক ২০ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮১২, আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৯৩। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪০ হাজার ৭৫৯ জন, মুক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫০৯। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ২৫০। আর ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২৬১, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে গেছেন চার লাখ পাঁচ হাজার ৫৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬০ হাজার ২২৬ জন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৬৪, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৬৭ এবং খালি ১০ হাজার ৭৯৭ শয্যা। এছাড়া ঢাকা শহরের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৩০৫টি। সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ২ হাজার ৫১। শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ২৫৪টি। নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ১৪২টি, ভর্তি আছেন ৮৭, খালি আছে ৫৫ শয্যা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ৩৯, ভর্তি আছেন ১৯, খালি আছে ২০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা ৬৫৭, ভর্তি আছেন ৩১১, খালি আছে ৩৪৬টি বেড। তিনি আরও জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে দেশের অন্য জেলার হাসপাতালে শয্যা আছে ৭ হাজার ৭০২টি। এখানে রোগী ভর্তি আছেন এক হাজার ৮০৫ জন, খালি আছে ৫ হাজার ৮৯৭ বেড। আইসিইউ আছে ১৯৩টি, রোগী ভর্তি আছেন ৮০ এবং খালি আছে ১১৩টি আইসিইউ শয্যা।
×