সংবাদদাতা, দোহার-নবাবগঞ্জ, ১৫ জুলাই ॥ ঢাকার দোহার উপজেলার পূর্ব লটাখোলা এলাকায় তপন কর্মকার (৪৫) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই কৃষ্ণ কর্মকারের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। নিহত তপন কর্মকার উপজেলার লটাখোলা গ্রামের মৃত গোপাল কর্মকারের ছেলে। লটাখোলা এলাকায় তার একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।
তপনের বড় ভাই কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আমি ঘরে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। আমার স্ত্রীও আমার সঙ্গে ছিল। অন্যরা যার যার ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় মুখোশ ও রেনকোট পরা কয়েক দুর্বৃত্ত বাড়ির প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের হাতে রামদা ছিল। আমাদের চিৎকারের শব্দ পেয়ে ঘরে থাকা আমার ছোট ভাই তপন কর্মকার বেরিয়ে এলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের কোপে আমার ভাইয়ে পেটের বিভিন্ন অংশ বেরিয়ে আসে এবং হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে দুর্বৃত্তরা আমার স্ত্রীকে মুখে চেপে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর কান্নার শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তারা গুরুত্বর আহত তপনকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করেণ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পূর্ব লটাখোলা এলাকারই ঝোপের একটি ডোবা থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাটোরে নবজাতকের
লাশ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, নাটোর শহরে পলিথিনে মোড়ানো সদ্য জন্ম নেয়া নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের আলাইপুর এলাকায় মুসলিম হল ইনস্টিটিউটের পার্শ্বে ডাস্টবিন থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কে বা কারা নবজাতকের মৃতদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে মুসলিম হল ইনস্টিটিউটের পার্শ্বে ডাস্টবিনে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: