ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১০ দফা দাবিতে খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের স্মারকলিপি পেশ

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ২ জুলাই ২০২০

১০ দফা দাবিতে খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের স্মারকলিপি পেশ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা ১০ দফা দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। বুধবার দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। ১০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শ্রমিকদের পাওনা শতভাগ এককালীন দিতে হবে, পিপিপির মাধ্যমে মিল চালু হলে তাদের যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয়। যেসব শ্রমিক কলোনিতে বসবাস করছেন তারা যেন সেখানেই বসবাসের সুযোগ পান। এছাড়া মিল বন্ধের নোটিস পরবর্তী শ্রম আইন অনুসারে দুই মাসের বেতন এবং ঈদ-উল-আজহার বোনাস পাওয়ার জন্য শ্রমিকরা দাবি জানান। স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের পাওনা শতভাগ পরিশোধ করেই সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে মিলগুলো চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ২০১৪ সাল থেকে অবসরে যাওয়া এবং বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা এককালীন পরিশোধের সারসংক্ষেপে অনুমোদন দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক আরও জানান, শ্রমিকদের পাওনা টাকায় যাতে কোন মধ্যস্বত্বভোগী ভাগ বসাতে না পারে সেজন্য সরকারী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। এছাড়া পিপিপির ভিত্তিতে মিলগুলোর চালু হলে এখানকার দক্ষ শ্রমিকের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, ‘পাটকল বন্ধ নয়-শ্রমিক ছাঁটাই নয়,’ ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ‘পিপিপি’ নয়, ‘আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা উন্নয়ন কর, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ কর’ এসব স্লোগানে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রক্ষায় রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখা। বুধবার বেলা ১১টায় মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মুজিববর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানান। শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে কারখানা চালু রাখার দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে। সৈয়দপুরে মানববন্ধন ॥ সৈয়দপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, পাট খাতকে পূর্র্ণাঙ্গভাবে বিরাষ্ট্রীয়করণ সম্পূর্ণ রূপে জাতীয় স্বার্থ ও সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী। এরই প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ ডাঃ জিকরুল সড়কে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যাগে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির সৈয়দপুর উপজেলা শাখা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, দেশে স্বাধিনতার পর ৯২টি পাটকলকে রাষ্ট্রীয়করণ করেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এতে লাখ লাখ শ্রমিক চাকরি করে জীবন ধারণ করেছেন। পাট নিয়ে সূক্ষ্ম নীতি প্রণয়নে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাট হয় সোনালী আঁশ। তবে এরশাদ সরকার ও পরে বিএনপি সরকার অনেক পাটকল বিক্রি করে নাম মাত্র দরে। এতে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সৈয়দপুর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাস্টার বলেন, বিএনপি সরকার ১৯৯১ সালে দেশের কয়লা চালিত সৈয়দপুর বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রটি অতি সস্তায় বিক্রি করে। যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল ৮০ কোটি টাকা। সেখানে মাত্র ৫৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে রেলের ঐতিহ্যকে ছেটে ফেলেছে।
×