ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১২ জুন ২০২০

ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা

অর্থনেতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা পঞ্চাশ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা হলে কাউকে আর দিতে হবে না। চলতি বছরে যা আছে আড়াই লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা। এর পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এর পরের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ১৫ শতাংশ। পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ২০ শতাংশ। এর বেশি আয়ের ক্ষেত্রে মোট আয়ের ওপর কর ২৫ শতাংশ। এদিকে, টানা পাঁচ বছর পর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হলো এতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীরা উপকৃত হবেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বিত্তবানদের সারচার্জ বা সম্পদ কর অপরিবর্তিত থাকছে। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা। এর বেশি বার্ষিক আয় থাকলে এলাকা ভেদে ন্যূনতম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা আয়কর দেয়ার বিধান আছে। নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতারা ৪ লাখ টাকা ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতারা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। নতুন বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। নারী, প্রতিবন্ধী ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সীমা বাড়ছে আনুপাতিক হারে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে সর্বনিম্ন করহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ৪৭ লাখ টাকা বেশি আয় হলে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দেয়ার বিধান রয়েছে। মুস্তফা কামাল বলেন, এ বছর বিশ্বব্যাপাী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য শ্রেণীর করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি। এতে ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসবে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হবে বলে আশা করা যায়।
×