ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় রিট

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ১ জুন ২০২০

ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় রিট

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে করোনা ইউনিটের পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনার বিচারিক তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে একইসঙ্গে মৃত পাঁচ রোগীর পরিবারের জন্য চাওয়া হয়েছে দৃষ্টান্তমূলক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশনা। সোমবার (১ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ জনস্বার্থে এ রিট আবেদনটি করেন। পরে রেদোয়ান আহমেদ রানজীব জানান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। আবেদনে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে হাসপতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. সাগুফা আনোয়ারের বরাত দিয়ে পাঠানো এক বার্তায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। এরা হলেন-রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহবুব (৫০)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতাল সংলগ্ন তবে মূল ভবনের বাইরে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন আইসোলেশন ইউনিটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সে সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে ভর্তি পাঁচজন রোগীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। তারা ভেতরে মৃত্যুবরণ করেন। তবে এই আইসোলেশন ইউনিটে পাঁচজনের সবাই করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে দমকলবাহিনী তদন্ত করছে এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ণ সহায়তা করছে।
×