ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত ও জ্বালানিতে ২৭ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ॥ নসরুল হামিদ

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ১ জুন ২০২০

বিদ্যুত ও জ্বালানিতে ২৭ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ॥ নসরুল হামিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার বিদ্যুত এবং জ্বালানি খাতে ২৭ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। চলতি মাসেই ঘোষণা হতে যাচ্ছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। তবে এই বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৬০ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুত এবং জ্বালানি খাতে মোট ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা দেয়া হয়। এবার বিদ্যুতে বরাদ্দ কমলেও বাড়ছে জ্বালানিতে বরাদ্দ। রবিবার অফিস খোলার প্রথম দিনে বিদ্যুত জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা জানিয়েছেন। সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে যথাক্রমে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উৎপাদনের সঙ্গে বিদ্যুতের বিতরণ এবং সঞ্চালনে থাকছে নতুন নতুন প্রকল্প। সব মানুষের ঘরে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জও পূরণ হতে যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রতিমন্ত্রী জানান বিদ্যুত বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২৪ হাজার ৮৫৩ কোটি ৩০ লাখ এবং জ¦ালানি বিভাগের জন্য তিন হাজার ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে বিদ্যুতের বিল দেয়ার নেয়ার দরকার নেই। এজন্য সরকার জুন পযন্ত বিদ্যুত বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুত বিল নিয়ে নানা ভোগান্তির কথা আমাদের কানেও আসছে। কারো কোন বাড়তি বিল করা হলে তা পরবর্তীতে সমন্বয় কর হবে। এর আগে মে মর্যন্ত বিলের উপর বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়। এখন আরও এক মাস সেই সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। যদিও এর মধ্যেই বিতরণ কোম্পানি যেসব বিল সাধারণ মানুষকে দিয়েছে সেখানে ৩১ মে’র মধ্যে পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে গ্রাহকের জন্য সব থেকে বড় বিড়ম্বনা হচ্ছে বাড়তি বিলের বোঝা মোকাবেলা। বিতরণ কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহারের অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল ধরিয়ে দিয়েছে।
×