ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতিতে মানুষের অনধিকার প্রবেশের কারণেই মহামারী- মার্কিন বিজ্ঞানীর দাবি

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ১৬ মে ২০২০

প্রকৃতিতে মানুষের অনধিকার প্রবেশের কারণেই মহামারী- মার্কিন বিজ্ঞানীর দাবি

বণ্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা এবং প্রকৃতির ওপর মানবজাতির অতিরিক্ত অনধিকার প্রবেশ করোনাভাইরাসের মহামারীর জন্য দায়ী বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী থমাস লাভজয়। তিনি বলেন, এই ভাইরাস প্রকৃতির প্রতিশোধ নয়, বরং আমরা নিজেরাই এর জন্য দায়ী। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। যুক্তরাষ্ট্রের এই খ্যাতনামা বিজ্ঞানী বলেন, এই মহামারী হলো প্রকৃতিতে আমাদের ক্রমাগত এবং অব্যাহত অনধিকার প্রবেশ এবং বণ্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যের প্রসার আর বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বণ্যপ্রাণীর বাজার ও ওয়েট মার্কেট এবং আফ্রিকার বণ্যপ্রাণীর মাংসের বাজার। এটা নিশ্চিত যে, এই ধরনের কিছু ঘটা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ওয়েট মার্কেটে মূলত জীবন্ত প্রাণী (চাষ করা এবং বণ্যপ্রাণী) ছাড়াও তাজা ফলমূল, সবজি, মাছ বিক্রি হয়। প্রায়ই অস্বাস্থ্যকরভাবে এগুলোর কেনা বেচা চলে। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন প্রতিবছর দুই থেকে চারটি করোনাভাইরাস তৈরি হচ্ছে এর মধ্যে যেকোনও একটি মহামারীতে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছেন থমাস লাভজয়। আফ্রিকা এবং এশিয়ার হাজার হাজার মানুষ এই বাজারের ওপর নির্ভরশীল। ১৯৮০’র দশকে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি’ টার্ম উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী থমাস লাভজয়। তাকে প্রায়ই জীববৈচিত্র্যের গডফাদার আখ্যা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো এবং জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন। ধারণা করা হয়ে থাকে চীনের উহান শহরের ওয়েট মার্কেট থেকেই ছড়িয়েছে বর্তমানে মহামারীর আকার নেয়া করোনাভাইরাস। ওই বাজারে শেয়াল, ইদুর, স্যালাম্যান্ডারসহ নানা ধরনের বণ্যপ্রাণী বিক্রি হয়।
×