সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ১৭ এপ্রিল ॥ বদরগঞ্জে বাড়ির পাশে দুবৃর্ত্তরা শ্যামল চন্দ্র মহন্ত ওরফে নয়ন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা করে নিজ স্কুলের বারান্দায় লাশ ফেলে যায়। শুক্রবার সকালে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে বদরগঞ্জ পৌরশহরের কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে। নয়ন এবারে ওই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তার পিতার নাম নারায়ন চন্দ্র মহন্ত।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে নয়ন স্কুলের পাশে নিজ বাড়িতে ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী জুলফিকার নামে এক যুবক গেটের বাইরে থেকে কথা আছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত গভীর হলেও সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। রাতে আশপাশের এলাকায় তার খোঁজ নেন পরিবারের লোকজন। আজ সকালে নিজ স্কুলের বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পরিবারে খবর দেয়।
নিহত নয়নের মা প্রমিলা রানী মহন্ত বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। জুলফিকার নামের ওর এক বন্ধু আমার ছেলেকে রাতে ডেকে নেয়ার পর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। এ বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, এটি রহস্যজনক হত্যাকা-। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বরিশালে চাচা
স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, যৌথ পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিত-ার জের ধরে ভাতিজারা কুপিয়ে হত্যা করেছে চাচা আবুল হাসানাত তৈমুর রহমানকে (৪০)। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা তুলাতুলি গ্রামের ঘরে ঢুকে তৈমুর রহমানকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে ভাতিজা জুম্মন ও ইমরান। নিহত তৈমুর রহমান ওই গ্রামের মৃত হাতেম আলী হাওলাদারের পুত্র।
নিহতের স্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্বামী বাড়ির যৌথ পুকুরে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় স্বামীর বড় ভাই এ্যাডভোকেট আহসান হাবিবের পুত্ররা তাকে গালি গালাজ করে। এ নিয়ে ওইদিন বিকেলে ফের ভাতিজা জুম্মন ও ইমরান ফের তার স্বামীর ওপরে চড়াও হলে তৈমুর প্রতিবাদ করেন। এতে জুম্মন ও ইমরান ক্ষুব্ধ হয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখে। পরে স্বজনেরা তৈমুরকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃদ্ধ
স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, নাসিরনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় উকিল সরকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ সিংহগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের মৃত অতুল সরকারের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, দক্ষিণ সিংহগ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের সঙ্গে উকিল সরকারের বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে সুরেন্দ্র সরকারের নারিকেল গাছের ডাল উকিল সরকারের ঘরের ওপর পড়লে এ নিয়ে কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে মারামারি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের আঘাতে উকিল সরকার আহত হয়। পরে তাকে নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।
না’গঞ্জে আহত ভাইয়ের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত ছোটভাই আলী আহাম্মদের (৪৪) মৃত্যু হয়েছে। আলী আহাম্মদ শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আজিজুল হক। অভিযুক্ত বড় ভাই আলী হোসেন (৪৬) পলাতক রয়েছে।
নিহতের আত্মীয় স্বজন ও পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত আটটায় নিজ বাড়ির বড় ভাই আলী হোসেন তার ছোটভাই আলী আহাম্মদকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রোএ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার দশদিন আলী আহাম্মদ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় মারা যান। নিহত আলী আহাম্মদ ও অভিযুক্ত আলী হোসেন মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত. কমির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ভাই আলী হোসেন পলাতক রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: