ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিক্সিং ইস্যুতে বিস্ফোরক বাট

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১১ এপ্রিল ২০২০

 ফিক্সিং ইস্যুতে বিস্ফোরক বাট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন তৎকালীন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বাট এবং দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। ওই ঘটনায় পুরো ক্রিকেট বিশ্বই কেঁপে উঠেছিল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আমির। কিন্তু বাটকে ফেরানো হয়নি। কলঙ্কিতদের ফেরানোর বিপক্ষে কথা বলছেন অনেকে। গ্রেট জাভেদ মিয়াঁদাদ তো এদের ফাঁসিতে ঝোলাতে বলছেন। ফিক্সারদের প্রত্যাবর্তন মেনে নিতে পারছেন না বর্তমান সদস্য মোহাম্মদ হাফিজও। আর কলঙ্কিত সেই ঘটনার হোতা সালমান বাটের মতে, ‘আমি আসলেই বুঝতে পারি না কেন এসব নিয়ে কাউকে কথা বলতে হবে, নিজের মত দিতে হবে। কারণ তাদের কথায় কিছু যায় আসে না। শেষ কথা হচ্ছে, শুধু আইসিসি আর পিসিবিই এ ব্যাপারে কথা বলা উচিত। কারণ আইন-কানুন তো তারাই বানায়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এমন অনেক খেলোয়াড়কে চিনি যাদের জাতীয় দলে নেয়া হয় (বোর্ডের ওপর মহলের সঙ্গে) তাদের সম্পর্কের কারণে। অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা তেমন আহামরি না কিছু করলেও বার বার তাদের ফেরার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আমাদের আসলে পাকিস্তান ক্রিকেটে সততা নিয়ে বুলি ছাড়াই উচিত নয়।’ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরেই ক্রিকেটে ফিরেছেন বাট। ২০১৬ সালে সে সময়ের পাকিস্তান কোচ ও বর্তমানে দলের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস চেয়েছিলেন বাটকে দলে ফেরাতে। কিন্তু একজন ফিক্সারকে নতুন শুরু দেয়ার প্রস্তাবে ভেটো দেন সে সময়ে দলের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। ফিক্সিংয়ের কারণে শাস্তি শেষেও তাকে সুযোগ না দেয়া নিয়ে বাটের কথা, ‘আইন অনুযায়ী খেলোয়াড়দের একইরকম সম্মান দেয়া উচিত। একবার শাস্তি ভোগ করা শেষ হয়ে গেলে একজন খেলোয়াড়কে অন্য যে কারও মতো করে দেখা উচিত।‘ ৩৫ বছর বয়সী বাট বলেন, ‘আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা পুরো ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলেন সব সময় তাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই। নিজেরা যখন শুধু (ওপর মহলের সঙ্গে) সম্পর্কের কারণে কোন খেলোয়াড়কে সুযোগ দেন, তখন এই সততা কোথায় থাকে? ওই ক্রিকেটারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তান ক্রিকেট যখন ভোগে, তখন তাদের সততা কোথায় থাকে?’
×