ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অযত্ন-অবহেলায় বঙ্গবন্ধুর খেলার মাঠ

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১২ মার্চ ২০২০

অযত্ন-অবহেলায় বঙ্গবন্ধুর খেলার মাঠ

নীতিশ চন্দ্র বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ, ১১ মার্চ ॥ টুঙ্গিপাড়ায় চরম অযতœ ও অবহেলায় পড়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের বাল্যকালের খেলার মাঠটি। বঙ্গবন্ধু মাজার-সন্নিকটে এ মাঠটির একপাশ দিয়ে গজিয়েছে ঝোপ-জঙ্গল, জন্মেছে আগাছা। খানাখন্দে ভরা এ মাঠের কয়েক স্থানে জমে থাকে পানি, জন্মেছে কচুরিপানা। শুকনো মৌসুমেও মাঠ থাকে কর্দমাক্ত। মাঠের একপাশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল ক’টি বসার স্লাব; তা-ও ভেঙ্গে পড়েছে। একেবারে পতিত হয়েই পড়ে আছে বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালের এ খেলার মাঠটি। এ প্রসঙ্গে মির্জা মামা হিসেবে সর্বজন পরিচিত টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা জনকণ্ঠকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খেলার সাথীদের কেউ এখন আর নেই। এ মাঠটিই ছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর বাল্যবন্ধুদের একমাত্র খেলার মাঠ। এ মাঠেই তিনি তার সাথীদের নিয়ে খেলেছেন দাড়িয়াবাঁধা, গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, ফুটবলসহ নানা খেলা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতি-বিজড়িত এ মাঠটিকে সংস্কার করে শোভাম-িত করে তুলতে কেউ এগিয়ে আসেননি। মির্জা মামা জানান, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার স্মৃতি-বিজড়িত অনেক স্থানই চিহ্নিত বা নির্ধারণ করা ছিল না। টুঙ্গিপাড়ার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সে স্থানগুলো চিহ্নিত করেন এবং প্রত্যেকটি স্থানের দিক-নির্দেশনাসহ সাইনবোর্ড দিয়ে জায়গাগুলো নির্ধারণ করেন। বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালের সেই খেলার মাঠটিও নির্ধারণ করে দর্শনার্থীদের জন্য তিনি সেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছেন। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে মাঠটিকে এখনও শোভাম-িত করে গড়ে তোলা যায়নি। তবে জাতির পিতার শৈশব-স্মৃতিময় এ মাঠটি দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার ও শোভাম-িত করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। যাতে পর্যটক ও শিশু-কিশোরসহ বঙ্গবন্ধু-প্রেমী মানুষ বঙ্গবন্ধুর মাজারে এসে বঙ্গবন্ধু’র বাল্যকাল ও শৈশব সম্পর্কে আরও অনুধাবন করতে পারেন।
×