ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষিকা ফাহিমার জোড়া লাগানো হাতের উন্নতি হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১২ মার্চ ২০২০

শিক্ষিকা ফাহিমার জোড়া লাগানো হাতের উন্নতি হচ্ছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গোপালগঞ্জে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমার বেগমের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতির খবর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনায় ফাহিমার বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া লাগানোর পর তাতে রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। ‘তবে ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত আপাতত আর কিছু বলা যাবে না,’ বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের ১২৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারী মঙ্গলবার চারটি মিনিবাস ও দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বহরের একটি বাস গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছন থেকে ধাক্কা খেলে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং শিক্ষিকা ফাহিমার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফাহিমাকে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে ঢাকায় এনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে পৌনে সাত ঘণ্টার লম্বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া লাগান চিকিৎসকরা। বুধবার দুপুরে চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজকে সকালে আমরা কয়েকবার দেখেছি। এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভাল বলা যায়, খারাপ না। তবে অন্য কোন কিছু বলা যাবে না, ৭২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সকালে আমরা মেডিক্যাল বোর্ডের সবাই মিলে বসবো। তারপর দেখে ডিসিশন নেব কী করা যায়।’ এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে হাত জোড়া লাগানো অংশে ব্লাড সার্কুলেশন হচ্ছে।’ একই তথ্য দিয়েছেন ফাহিমার ছোট ছেলে বেসরকারী শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফাহিমুল ইসলাম। ‘আমি আইসিউতে গিয়ে আম্মুকে দেখেছি, চোখ খুলে তাকিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে আম্মুর জোড়া লাগানো হাতের অংশে ব্লাড সার্কুলেশন হচ্ছে। ডাক্তাররাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আশা করি বেস্ট ট্রাইয়ের মাধ্যমে আম্মু সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ ফাহিমার স্বামী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম পুলিশের বিশেষ শাখার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার। ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় তাদের বাসা, গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায়।
×