ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৯:১১, ৬ মার্চ ২০২০

শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মন্দাবস্থা পিছু ছাড়ছে না শেয়ারবাজারের। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসেই দরপতন হলো। বিশেষ তহবিল ঘোষণার পর টাকা নিতে ব্যাংকগুলোর ধীরে চলো নীতির কারণেই বিনিয়োগকারী হতাশায় বিক্রি বাড়িয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরু থেকেই মূল্য সূচক দ্রুত ওঠানামা দেখা গেছে। লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ৫ মিনিটের মধ্যেই সূচকটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে প্রথম ২০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমে ১৪ পয়েন্ট। অবশ্য পরের ১০ মিনিটে আবার উর্ধমুখী হয় সূচক। বেলা ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট। এরপর আবার নিম্নমুখী হয়ে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে সূচকটি ২০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। এতে দুপুর ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর টানা নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক, যা দিনের লেনদেনে শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াহ ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সারাদিনে মোট তিনবার সূচক বাড়ে আবার কমে। শেষবার পতনের পর আর উঠতে পারেনি সূচক। দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির দর কমেছে বেশি। এর বিপরীতে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির দর বেড়েছে বেশি। সারাদিনই স্বল্প মূলধনী এই কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল। মূল্য সূচকের এই পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৫টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২১৩টির। ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয় ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাহি এ্যালুমিনিয়াম। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্র্যাক ব্যাংক, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, হাক্কানি পাল্প এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৬২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×