ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২ মার্চ ২০২০

  গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের  ৫ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন উপায়ে দেশে গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ পাঁচটি নির্দেশনা দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার (এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ছয় মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মিটিং করবেন। গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার অব্যাহত রাখবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোন ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, এমন কোন তথ্য পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। যখনই গণপিটুনির কোন ঘটনা ঘটবে, দেরি না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে জানাবেন। গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনা ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার, উত্তর বাড্ডা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করে হাইকোর্ট। পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।
×