ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘মুজিববর্ষে ৫০ লাখ নারীকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে’

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ২ মার্চ ২০২০

 ‘মুজিববর্ষে ৫০ লাখ  নারীকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে  ক্ষমতায়ন  করা হবে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পরপরই সংবিধানে নারীর অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেন। আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কল্যাণকর বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছে। মুজিব বর্ষে ৫০ লাখ প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নারীকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে। রবিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৯ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ‘কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের’ ৬৪তম অধিবেশনের মূল আলোচ্য ‘রিভিউ এ্যান্ড এ্যাপ্রাইসাল অব দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব বেইজিং ডিক্লারেশন এ্যান্ড প্লাটফর্ম ফর এ্যাকশন’ বিষয়ে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শোকো ইশিকাওয়া ও দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া হাসান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শীপা হাফিজা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মালেকা বানুসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট, বেসরকারী ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান, সমতা প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য হ্রাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে চার বছর জাতীয় সংসদে নারী সংরক্ষিত আসন বন্ধ রেখেছিল ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি রাতের আঁধারে বাতিল করে দেয়। যার ফলে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়। সভায় কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৪তম সভায় আলোচিত হতে যাওয়া বেইজিং প্লাটফর্ম ফর এ্যাকশনের ফল, নারীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, শোভন কর্ম পরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস, সহিংসতা প্রতিরোধ, সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সমতা অর্জন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বেইজিং ঘোষণা পরবর্তী ২৫ বছরে দেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের চিত্রও তুলে ধরা হয়।
×