ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আড়ালে থেকে যাচ্ছে বিমানবন্দর সড়কের অনেক ঘটনা

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আড়ালে থেকে যাচ্ছে বিমানবন্দর সড়কের অনেক ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুর্মিটোলা বিমানবন্দর সড়কের দুপাশে সুরক্ষিত এলাকা, মাঝখান দিয়ে ব্যস্ত সড়ক। ঢাকার অন্য সড়কে ৫২ ফিট পরপর লাইট থাকলেও, এখানে দুই লাইটের ব্যবধান ৮৪ ফিট। ফলে অন্ধকারে ঘটছে নানা অপরাধ। পথিকরা জানান, ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার পর সড়কটি আলোচনায় আসলেও, আড়ালে থেকেছে আগের অনেক ঘটনা। রাজধানীর বনানীর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এ সড়কটিতে যানবাহন নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে পারে। তবে তার বিপরীত পাশে একটি সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যার পর ফুটপাথ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন’। তবে এই সাইনবোর্ড কে বা কারা লাগিয়েছে তা লেখা নাই। তাহলে সন্ধ্যার পর এই সড়ক দিয়ে কেউ যাতায়াত করলে এর দায় কে নেবে? পথিকরা জানান, এই সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে সাবধান করার জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়তো এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। বলেন, ‘আমরা কি তাহলে সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করব না।’ পুরো সড়কের ফুটপাথের পাশে যে ঝোপঝাড় তাতে অনুমেয় রাতের আঁধারে কি হতে পারে এর পেছনে। আর রেল লাইনের পাশের পরিত্যক্ত বগিগুলোও আতঙ্ক ছড়ায় এই পথের যাত্রীদের। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে, ছুটে চলা যানবাহনের আলোর গতিতে ভিন্ন একরূপ পায় এই সড়ক; সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ে মানুষের। ঢাকার অন্য প্রধান সড়কে ৫২ ফিট পরপর রাস্তার মাঝ বরাবর লাইট থাকলেও সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের দায়িত্বে থাকা ঢাকার অন্যতম চওড়া এই পথে তা আছে ৮৪ ফিট পরপর। ফলে পুরো সড়কজুড়ে পর্যাপ্ত আলোর অভাব। তাই পথিকের ভরসা যানবাহনের আলোই। আর ফুটপাথজুড়ে থাকা সৌন্দর্যবর্ধনের এই বাতিতে, মনে এতটুকু জোর বাড়ে না সাধারণ মানুষের। পথিকরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে সন্ধ্যার পর পার হওয়ার সময় কেউ আক্রমণ করলে কিছুই করার থাকে না। এখানে যে যাত্রী ছাউনি আছে সেখানে তা পুরোপুরি অন্ধকার, একটি বাতিরও ব্যবস্থা নেই। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় রেললাইন কেন্দ্রিক দুষ্কৃতিতে আনাগোনা কমে গেলেও এখানে যে নানা অবৈধ কর্মকান্ড ঘটে তা স্পষ্ট হয় নানা আলামতে।
×