ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিতাস গ্যাসফিল্ডের কম্প্রেসর প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিতাস গ্যাসফিল্ডের কম্প্রেসর প্রকল্প

রিয়াজউদ্দিন জামি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ তিতাস দেশের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র। দিন কি দিন কমছে এ গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন। ক্রমাগত তিতাস ক্ষেত্রের গ্যাস উৎপাদন কমে যাওয়ায় সেখানে কম্প্রেসার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বিজিএফসিএলের অধীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র এটি। এখানে গ্যাসের চাপ বাড়াতে সাতটি কম্প্রেসর কেনা সম্পন্ন হলে গ্যাস উত্তোলন বাড়বে। কম্প্রেসর কিনতে দেরি হলে গ্যাসের চাপ আরও কমে সঙ্কট বাড়বে। অথচ নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যাচ্ছে না কাজটি। অনেকটাই অনিশ্চিত তিতাস গ্যাসফিল্ডে কম্প্রেসার প্রজেক্টের কাজ। কবে শুরু হবে এ প্রজেক্টের কাজ তা বলা যাচ্ছে না। নানা অনিয়মের কারণে এ কাজ অনিশ্চিত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ৯শ’ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিতাস গ্যাসফিল্ডে ৯টি কূপের প্রেসার বাড়াতে কম্প্রেসার প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, কম্প্রেসার প্রজেক্ট বসানো হলে গ্যাস কূপগুলোর গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে না। বাড়বে শুধু প্রেসার। বর্তমানে এসব কূপ থেকে ৯শ থেকে ১২শ পিএসআই গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। কম্প্রেসার স্থাপন করার ফলে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব বলে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের একজন কর্মকর্তা জানান। এ প্রজেক্টের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩ মার্চ। দরপত্রে সাতটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির প্রস্তাবকে বিজিএফসিএল কর্তৃপক্ষ যোগ্য ঘোষণা করে। তার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মনোনীত হয় যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত টেকনো স্ট্রিম এনার্জি নামের প্রতিষ্ঠানটি। আর বিজিএফসিএল কর্তৃপক্ষ ১৭ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে চুক্তি সম্পাদনের নোটিস দেয়। ৯১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। নিয়মানুযায়ী, নোটিস পাঠানোর ২৮ দিনের মধ্যে দরপত্র জামানত সাড়ে ১২ কোটি (বিড বন্ড) টাকা ও কার্যসম্পাদন জামানত ৭২ কোটি টাকা জমা দেয়ার কথা। এসব কাজ শেষ করে চূড়ান্ত চুক্তি করার শেষ সময় ছিল ১০ অক্টোবর। এর মধ্যে টেকনো স্ট্রিমের স্থানীয় প্রতিনিধি মজুমদার এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে বিড বন্ডের সাড়ে ১২ কোটি টাকা জমা দিলেও প্রায় ৭২ কোটি টাকার কার্যসম্পাদন জামানত জমা পড়েনি। বর্তমানে তিতাসের ২৩টি কূপের উৎপাদন চলছে। এসব কূপ থেকে প্রতিদিন সাড়ে সাড়ে ৪শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয়। প্রতিনিয়তই কমছে তিতাস ফিল্ডের উৎপাদন। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে কোন মুহূর্তে তিতাসের একাধিক কূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
×