ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখতে চায় ফ্রান্স ও ব্রিটেন

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২১ জানুয়ারি ২০২০

  পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখতে চায় ফ্রান্স ও ব্রিটেন

ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ার পর তারা এ প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে ইরান চুক্তি টিকিয়ে রাখতে এতে পরিবর্তন আনা মেনে নেবে না বলে জানা গেছে। তেহরান টাইমস। রবিবার বার্লিনে এক বৈঠকের পর জনসন ও ম্যাক্রোঁ বলেন, ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সেজন্য পরমাণু সমঝোতার একটি দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঠিক করা প্রয়োজন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা এমন সময় পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার আহ্বান জানালেন যখন ওই দু’দেশের পাশাপাশি জার্মানি মিলে পরমাণু সমঝোতার মতবিরোধ নিরসনের মেকানিজম চালু করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি শুক্রবার তেহরানে বলেন, তিন ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভৃত্যে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয়রা ভাবছে তারা ইরানকে নতজানু করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রই যেখানে ইরানের কোন ক্ষতি করতে পারেনি সেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর এ ধরনের হুমকি হাস্যকর। ইরানকে সর্বোচ্চ চাপে রাখার মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। রবিবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, এমনটা মনে করার কিছু নেই যে বাইরে থেকে চাপ দিয়ে ইরানের সরকার পরিবর্তন করলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। ইরাকে এর ফল খারাপ হয়েছে। এদিকে নতুন করে ইরান আর কখনই পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনভাবেই পরমাণু ইস্যুতে নতুন চুক্তিতে কারও সঙ্গে সমঝোতা করব না। জারিফ বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন। এর আগে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয়টি রাষ্ট্রের সঙ্গে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি করে ইরান। সেই চুক্তির ফলে পরমাণু কর্মসূচী থেকে সরে আসার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল ইরান। তবে সম্প্রতি কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ট্রাম্প ডিল’ নামে নতুন একটি পরমাণু চুক্তির কথা সামনে এসেছে। বিষয়টি টেনে ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন সেটাও যদি করা হয়, এরপর ‘ওয়ারেনস ডিল’ কিংবা ‘বার্নি স্যান্ডারস ডিলও’ আমাদের করতে হবে। আমাদের সঙ্গে এর আগের চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ ছিল। সেই চুক্তি থেকে কেবল মার্কিনীরাই বেরিয়ে গেছে। অপর খবরে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সৌদি আরব এবং অন্য উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে ইরান আলোচনা করতে প্রস্তুত। মুম্বাইয়ে এক সভায় জারিফ বলেন, তেহরান এই অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
×