স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ আইসিইউ’র শয্যা দ্বিগুণ করা হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, উন্নয়নের দিক থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সব সময় অগ্রাধিকার পায়। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। হাসপাতালের জনবল ও যন্ত্রাপতির প্রয়োজন। সেগুলো দ্রুত দেয়া হবে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আইসিইউ’র শয্যা দ্বিগুণ করে দেয়া হবে। একটি গাড়ি ও প্রয়োজনে একটি এ্যাম্বুলেন্সও দেয়া হবে। এ বছর রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তিনটি জায়গা দেখেছি। আমার সঙ্গে সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও ছিলেন। আমরা নক্সা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছি। এখন সার্ভে করার প্রয়োজন। এ জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কেও দরকার। ডিপিপি চূড়ান্ত হবে সার্ভের পর।
তিনি বলেন, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভের কাজ একসঙ্গে হচ্ছে। সার্ভে হয়ে গেলেই আমরা প্রকল্পটি একনেকে নিয়ে যাব। আশা করি নতুন করে অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে। তখন দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা অবকাঠামোগত কাজ শুরু করতে পারব। রামেকের অধ্যক্ষ ডাঃ নওশের আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ ডাঃ মনসুর রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ঢুকতে হবে। হাসপাতালে ঢুকতে হলে আপনারা পরিচালক মহোদয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেবেন, তারপর ভেতরে যাবেন।
তিনি বলেন, এখানে অনেক ধরনের রোগী থাকে। এর মধ্যে মুমূর্ষু রোগীরাও থাকে। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সংক্রমণের বিষয়টি আমাদের আগে ভাবতে হয়। তাই সবাইকে সব জায়গায় ঢুকতে দেয়া সম্ভব হয় না। এই ব্যবস্থা শুধু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই রয়েছে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থাকে। তাই বেশি এ্যাটেনডেন্স থাকার কারণে রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এই বিষয়টি আমরা যেমন দেখবো, তেমনি আপনারাও দেখবেন। এটি সবার দায়িত্ব। ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হামলা চালান। হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়কে মারধরের ঘটনার ছবি ওঠানোর সময় সাংবাদিকদের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটান ইন্টার্নরা। এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হন। এরপর থেকে রামেক হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।