ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ঝলক

গুগল ম্যাপে পাওয়া যায় না ! প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। গুগল ম্যাপের সাহায্যে বিশ্বের যেকোনও জায়গা সহজেই খুঁজে বের করা যায়। ঘরে বসে যেকেউ ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তবে বিশ্বে এমন কিছু জায়গাও আছে, যা চাইলেও গুগল ম্যাপে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ রকম সাতটি জায়গা আছে ম্যাপে যা খুঁজে পাওয়া যায় না। ওই জায়গাগুলো জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি। সামরিক জোট ন্যাটোর একটি বিমানঘাঁটি জার্মানিতে অবস্থিত। গিয়েলেনকির্চেন নামের ওই জায়গায়টি মাইক্রোসফটের বিংয়ে ব্লক করা নেই। কিন্তু গুগল ম্যাপে ওই জায়গাটি পিক্সেল করে দেখানো হয়। অন্যগুলো হলো, তাইওয়ানে অবস্থিত চীনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ব্যুরোর সদর দফতর, স্পেনের লোস ডোলোরেস ও রোজেজ, নেদারল্যান্ডের ভলক্যাল বিমানঘাঁটি, ইসরাইল, টেক্সাসের হাডসপেথ কাউন্টি। স্পেনের লোস ডোলোরেস হ্যালিপো-য়েরতো ডি কার্টাগেনা জায়গাটি সম্পর্কে তেমন কোন তথ্যও খুব একটা জানা নেই কারও। গুগলের স্ট্রিট ভিউয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না এর অবস্থান। লোস ডোলোরেসের মতো স্পেনের আরও একটি জায়গা হল রোজেস। অনুমান করা হয়, জায়গাটি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর ৮৭৫তম আধুনিক বিমানটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেখান থেকে ওই বিমানে বিভিন্ন সতর্কবার্তাও পাঠানো হয়। রোজেজ জায়গাটি গুগল ম্যাপে নেই। নেদারল্যান্ডসের ভলক্যাল বিমানঘাঁটি নিয়ে উইকিলিকসের অভিযোগ, সেখানে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার ২২টি পারমাণবিক বোমা লুকিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট। এটিও গুগল ম্যাপে অনুপস্থিত। ইসরাইলকেও গুগল ম্যাপে দেখা যায় না। জুম করলে মনে হবে কিছু ভবন। আসলে তা নয়। টেক্সাসের একটি অংশ, যার নাম হাডসপেথ কাউন্টি সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্ত এলাকা আছে। ওই সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজ এলাকাটি গুগল ম্যাপে বিকৃত করে রাখা আছে। -ইকোনোমিক টাইমস জেরুজালেমে যিশুর জন্ম নয় জেরুজালেমের বেথলেহেম দুই হাজার বছর ধরে যিশুর জন্মস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। ফলে জায়গাটি ইহুদি ও খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পবিত্র তীর্থস্থান। একই কারণে জেরুজালেমের দখল নিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। আজকের দুনিয়ায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বেরও অন্যতম কারণ যিশুর জন্মস্থানখ্যাত জেরুজালেম। কিন্তু যিশুর প্রকৃত জন্মস্থান নিয়ে নতুন তথ্য দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, জেরুজালেমের নিকটবর্তী বেথলেহেমে নয় বরং তার থেকে এক শ’ মাইল দূরে লেবানন-সিরিয়া সীমান্তবর্তী নাজারাথের বেথলেহেম অঞ্চলে যিশুখ্রিস্টকে জন্ম দেন মা মেরি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, হাজার হাজার বছর ধরে যিশুর প্রকৃত জন্মস্থান অবহেলায় ফেলে রেখে ভুল বেথলেহেম নিয়ে মেতে আছে মানুষ। ম্যাথিউ ও লুকের বাইবেলে ভৌগোলিক বর্ণনা অনুসারে দুই হাজার বছর আগে পশ্চিম তীরের জেরুজালেম নগরীর বেথলেহেমে এক গোয়ালঘরে জন্ম হয় যিশুর। তা ভুল বলে দাবি করছেন ইতিহাসবিদরা। এ বিষয়ে তাদের সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো, বাইবেলেই মা মেরির ছেলেকে ‘নাজারাথের যিশু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নাজারাথের বাসিন্দা মেরি ও যিশু কেন নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে এক শ’ মাইল দূরের জেরুজালেমের বেথলেহেমে যাবেন। যেখানে নাজারাথের বেথলেহেমই তাদের বাড়ির কাছেই রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেরির অতদূরে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্তিযুক্ত নয়। বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদদের মতে, এটি ঘটেছে মূলত এক ঐতিহাসিক ভুল বোঝাবুঝির ফলে। দুই জায়গার নামই বেথলেহেম হওয়ায় এ ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তীর্থযাত্রীরা নাজারাথের বেথলেহেমের বদলে জেরুজালেমের বেথলেহেমে যেতে শুরু করেন। চতুর্থ শতকে রোমান সম্রাজ্ঞী সেন্ট হেলেনা যিশুর জন্মস্থান বলে পরিচিত ওই জেরুজালেমের বেথলেহেমেই উপাসনালয় তৈরির নির্দেশ দেন। কালে কালে এভাবেই ভুল বোঝাবুঝি স্থায়ী রূপ পায়। -টাইমস অব ইসরাইল
×