ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি বাড়লেও স্বাভাবিক হয়নি পেঁয়াজের বাজার

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

আমদানি বাড়লেও স্বাভাবিক হয়নি পেঁয়াজের বাজার

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আমদানির পেঁয়াজের সরবরাহ ইতোপূর্বেকার চেয়ে বাড়লেও বাজার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে আসছে না। এর কারণ হিসেবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে চীন এবং মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও মিয়ানমারের পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এর পাশাপাশি মিয়ানমার পেঁয়াজের বাজারমূল্য বৃদ্ধিও পেয়েছে। ফলে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতিনিয়ত একেক দেশের পেঁয়াজের মূল্য কখনও বাড়ছে, আবার কখনও কমছে। আর এতে করে খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব পড়ছে না। ফলে ভোক্তাদের দুর্ভোগও কমছে না। বাজার সূত্র জানিয়েছে, বড় কয়েকটি আমদানিকারকের পেঁয়াজ বাজারে আসার পরও পরিস্থিতি কেন স্বাভাবিক পর্যায়ে আসল না তা বড় ধরনের একটি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। একটি শিল্প গ্রুপের আমদানির পুরো পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হয়েছে টিসিবির মাধ্যমে। টিসিবি থেকে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকায় এ পেঁয়াজ নিতে গ্রাহকদের গলদঘর্ম পরিস্থিতি। ফলে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে এ পেঁয়াজ নিতে অনিচ্ছুক। প্রসঙ্গত, গত দু’মাস ধরে দেশে পেঁয়াজের বাজার আকাশচুম্বী পর্যায়ে রয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর দেশের বাজার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এ অবস্থায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজের আমদানির চালান টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে খালাস হয়ে বাজারে ঢুকেছে। প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মিয়ানমারের পেঁয়াজ পৌঁছে গেছে। নতুন উৎপাদনের পেঁয়াজ আড়তে ঢুকতে শুরু করেছে। এ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু হলে মূল্য কিছুটা কমবে। মঙ্গলবার খাতুনগঞ্জের আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজের কেজিপ্রতি পাইকারি মূল্য ছিল নি¤েœ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। অপরদিকে, চীনের পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং মিসরের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মাঝপথে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মূল্য ১২০ টাকায় নেমে এসেছিল। সে পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। চীন এবং মিসরের পেঁয়াজের সরবরাহে কোন কমতি নেই। মিসরীয় পেঁয়াজের মোটামুটি ঝাঁজ থাকলেও চীনা পেঁয়াজের ঝাঁজ একেবারেই নেই। স্বাদও কম। তাই বর্তমানে বাজারে চীনা পেঁয়াজেরই মূল্য সবচেয়ে কম।
×