ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাগজ জাল করে ভাতা তুলছে আরেক হাফিজুর

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাগজ জাল করে ভাতা তুলছে আরেক হাফিজুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ২৩ নবেম্বর ॥ মুক্তিযোদ্ধা মৃত হাফিজুর রহমানের ভাতা ভুয়া নামে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সন্তান লাইলি বেগম। শনিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লাইলির স্বামী শ্রমজীবী শহিদুল ইসলাম। লাইলির অভিযোগ, তার বাবা হাফিজুর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে বাড়ি। হাফিজুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট নম্বর ৭২৭ ও সনদপত্র নম্বর ১৫০৮৬৪। গেজেট বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর ৭১৯০, তারিখ ৮-১১-২০০৪। জীবদ্দশায় ২০০৭ সাল থেকে তিনি নিয়মিত ভাতা তুলে আসছিলেন। ভাতার বই নম্বর ৩১/বি। ২০১১ সালের ৩০ নবেম্বর পর্যন্ত ভাতা তুলেছেন। একটি মামলায় হাজতে থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান ২০১২ সালের ৬ আগস্ট মারা গেছেন। হাজতি নম্বর ৯১২/১২। এর পরই শুরু হয় জালিয়াতি। লাইলির অভিযোগ, একটি চক্রের যোগসাজশে তার বাবার নামে নাম বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মাতুব্বরের ছেলে হাফিজুর রহমান মাতুব্বর ভুয়া কাগজপত্র বানায়। লাইলির বাবার গেজেট নম্বর এবং ভাতার বইয়ের সবকিছু ঠিকানাসহ অবিকল রেখে এখন পর্যন্ত কলাপাড়া থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার সন্তানদের স্কুল ও পুলিশে চাকরি দিয়েছেন। লাইলি জানান, তিনি বহুবার বিষয়টি নিয়ে আমতলীতে গিয়েছেন। কোন সমাধান তো দূরের কথা উল্টো ধমক দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। লাইলি তার বাবার নামের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ফিরে পাওয়া এবং জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। বহুবার কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান। তিনি প্রতিকার চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এ ব্যাপারে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেনÑ মৃত হাফিজুর রহমান জীবিত থাকাকালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নামের ভাতার বই খুলে ভাতা তুলেছেন। বিষয়টি তদন্তে ধরা পড়ায় ঠিক করে তার নামে (প্রকৃত হাফিজুর রহমান) বই খুলে ভাতাদি দেয়া শুরু করে। তিনি বরং ২০০৭ সাল থেকে ’১২ সাল পর্যন্ত ভাতাদি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, এমন পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। এখন হয়রানি করা হচ্ছে তাকে।
×