অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমিতে মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেওয়ায় উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তাদের আইনজীবী জাফরিয়াব জিলানি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মনে করি এটা অবিচার হয়েছে....আমরা এই রায় মেনে নেব না। তবে আমরা রায়ের পুরো অংশের সমালোচনা করছি না।
“আমরা এই রায়কে সম্মান করি এবং জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করছি। কোনো পক্ষের তরফ থেকেই এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামা উচিত হবে না। এখানে কারো জয় বা পরাজয়ের কিছু নেই। আমি শুধু এটা বলতে পারি, এই রায় সন্তোষজনক নয় এবং আমরা এমনটা আশা করিনি।”
তবে তারা রিভিউ পিটিশনের বিষয়ে এখনই কিছু জানাননি বলে জানায় এনডিটিভি। বরং রায়ের পর ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যরা একটি বৈঠক ডেকেছেন এবং ওই বৈঠকে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা উচিৎ হবে নাকি হবে না সে বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।
অযোধ্যার বিতর্কিত পৌনে তিন একর জমি নিয়ে বিরোধ শতাব্দী প্রাচীন।
ওই বিরোধী নিষ্পত্তিতে শনিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দেয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায় পড়া শুরু করেন।
তিনি প্রথমেই জমির মালিকানা পেতে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়ার জমির উপর দাবি দুটোই খারিজ করে দেন।
আদালত এই জটিলতার সমাধান করেছে এভাবে, পৌনে ৩ একরের ওই স্থানে মন্দির হবে, তবে তা হবে একটি ট্রাস্টের অধীনে। ভারত সরকার তিনমাসের মধ্যে ওই ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে দেবে। আর মসজিদের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে কাছাকাছি অন্য স্থানে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।
এই রায়ে বিতর্কিত জমির উপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্তৃত্বও খর্ব হল, যারা মন্দির নির্মাণের জন্য ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল। কারণ, জমিটি এখন ট্রাস্টের অধীনে চলে যাবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড মন্দির নির্মাণসহ সেটির দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।
কারো বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয় বরং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী এ রায় দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
রায়ে বলা হয়, “এএসআইর প্রতিবেদন অনুযায়ী ফাঁকা জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তবে মাটির নিচে থাকা স্থাপনাটি ঠিক কী ছিল, তা এএসআই সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি।”
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: