স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পাওনা (বিটিআরসি) ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে কত টাকা দিতে পারবে তা জানাতে আরও দুই সপ্তাহের সময় পেয়েছে গ্রামীণফোন। একইসঙ্গে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি আগামী ১৪ নবেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপীল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপীল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। শুনানিতে গ্রামীণফোনের পক্ষে সময় চাওয়া হলে আদালত ১৪ নবেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়। আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
গত ২১ অক্টোবর আপীল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান বিটিআরসির আবেদনের ওপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করে দেন। ২৪ অক্টোবর পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা বিটিআরসিকে দিতে পারবে তা জানতে চায় সুপ্রীমাকর্টের আপীল বিভাগ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করতে গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয়। গ্রামীণফোনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞাসহ আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আগামী ৫ নবেম্বর দিন ধার্য করে আদালত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: