ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

ভিলেন যখন হিরো!

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

  ভিলেন যখন হিরো!

সদ্যসমাপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। ১৬তম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমীকে হারিয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে আবারও পুরনো নেতৃত্বে মিশা-জায়েদ প্যানেল। দ্বিতীয়বারের মতো মিশা-জায়েদের জয়ের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির ইতিহাসে প্রথমবার পুরো প্যানেল নির্বাচিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী উৎসব মুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নির্বাচন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। পুনরায় নির্বাচিত হয়ে খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘মিডিয়াতে মৌসুমী কথা দিয়েছিলেন, যদি সে জিতে তবে আমাকে সঙ্গে নিয়েই সমিতির কাজ চালিয়ে যাবে। আর আমিও কথা দিয়েছিলাম, যদি আমি জিতে যাই তবে ওকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব। কারণ আমারা দুজনই শিল্পী ও একে অপরের ভাল বন্ধু। আমি মৌসুমীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। মৌসুমীকে বিশেষ কমিটিতে রেখে তাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। নির্বাচিত হওয়ার পরের দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মিশার একটি ছবি আলোচনায় এসেছে। ছবিটির ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি একজন অভিনেতা। অভিনয়ই আমার পেশা। অনেক মানুষের সঙ্গে ছবি থাকতে পারে তবে শনিবার নির্বাচত হওয়ার পর দেখলাম একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ছবিটি এডিট করা। আমি কোন রাজনীতি করি না। আমার মূল পেশা অভিনয়। এ রকম এডিট করা ছবি দিয়ে একজন শিল্পীর সম্মান নষ্ট করবেন না। শিল্পীদের সম্মান করুণ। বাংলা চলচ্চিত্র ভালবাসুন।’ সাধারণ শিল্পীরা যোগ্য ও কাছের মানুষ হিসেবে আপনাকে বেছে নিয়েছেন। বিষয়টি কেমন উপভোগ করছেন? ‘অনেক ভাল লাগছে শিল্পীরা আরও একবার প্রমাণ দিয়েছে তারা আমাকে কতটা ভালবাসে। আমি একজন অভিজ্ঞ নেতা। মৌসুমীর বুঝে শুনে আসা দরকার ছিল আমার সঙ্গে ফাইট দিতে। যেই হোক জয় পরাজয় থাকবেই। আমরা মৌসুমীকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব।’ মৌসুমীর সঙ্গে মিশার বেশ বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব ছাপিয়ে নির্বাচন করেছেন। তবে নির্বাচন ঘিরে বন্ধুত্বে কোন ভাটা পরেনি বলে জানান। নির্বাচনের আগে অনেক অসঙ্গতি ঘটার আশঙ্কা ছিল। সে রকম কিছুই ঘটেনি। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন মিশা সওদাগর। দায়িত্বটি সম্মানের সঙ্গেই দেখছেন। অতি সম্মানের সঙ্গে আগামী দুই বছর শিল্পীদের জন্য কাজ করতে চান এ অভিনেতা। বলেছিলেন নির্বাচিত হলে বাতিল সদস্যদের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেবেন। গতকাল আমাদের শপথ নিয়েছি। শীঘ্রই সবাই বসে যাছাই বাছাই করে যোগ্য শিল্পীদের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হবে। নির্বাচনের আগে শিল্পীদের জন্য অনেক কিছু করবেন বলেছিলেন। মূলত আপনি শিল্পী। বাংলা সিনেমার জন্য কি করবেন? আমাদের সিনেমার পরিবেশ ঠিক করা দরকার। এ বিষয়ে প্রযোজক-পরিচালক সমিতির সঙ্গে কথা বলে সিনেমার ভালর লক্ষ্যে চেষ্টা করব সঙ্কট সমস্যাগুলো সমাধান করতে। সিনেমা হলের পরিবেশ ঠিক করতে পারলে এবং প্রতি জেলায় আধুনিক হলো করা হলে আমার বিশ্বাস সিনেমার সুদিন ফিরবেই।
×